পাটকেলঘাটার রাস্তার কালভার্টটি ভেঙ্গে নষ্ট হওয়ায় চরম ভোগান্তি
পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
পাটকেলঘাটার বাইগুনি ও চৌগাছার দুটি গ্রামের শত শত সাধারন মানুষ চলাচলের রাস্তার কালভার্টটি ভেঙ্গে নষ্ট হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অতিদ্রæতার সাথে কালভার্টটি সংস্কার পূর্বক চলাচলের দাবী জানিয়েছে ভ‚ক্তভোগী এলাকাবাসী।
গত বছর পাটকেলঘাটা হারুণ অর রশিদ কলেজের পাশ দিয়ে বাইগুনি চৌগাছার প্রধান সড়কের সম্মুখে ৩নং সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (মহিলা) সবিতা রানী দাশ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বির্তকিত ভাবে কাজ করে এই কালভার্টটি নির্মান করেন। নির্মানের ১৮ দিনের মাথায় নব-নির্মিত কালভার্টে ফাটল ধরে।
একারনে এলাকার সাধারন জনগণ ফুঁসে ওঠে। রাস্তায় চলাচলকারী অনেকে অভিযোগ তোলে কালভার্টটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে দূর্নিতী করা হয়েছে। যে কারনে সদ্য নির্মিত কালভার্টটিতে ফাটল ধরেছে। এ বিষয়ে সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য পরিতোষ দাশ বলেন, কালভার্টটিতে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত বোঝাই দেওয়ার জন্য এ সমস্যা হয়েছে। এছাড়া ১০ চাকার ট্রাক কালভার্টটির উপর দিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রিপন হোসেনের ট্রাক যাওয়ার কারনে এ অবস্থা তবে সে বলেছিলো দ্রæতই ক্ষতিগ্রস্থ কালভার্টটি মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে দিবে। এছাড়া মেয়াদ পার না হওয়া পর্যন্ত পরিষদ থেকে এটার কোন বাজেট পাওয়া যাবে না। এলাকাবাসীর উচিত যাদের কারনে কালভার্টের এ দুরস্থা তাদেরকে বলা। অপর দিকে বাইগুনি গ্রামের অমিত কুমার বলেন, শুরুতেই কালভার্টটি নিয়ে দূর্নিতী করেছে ইউপি সদস্য সবিতা রানী। যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে সেটাকার কাজ করলে এর থেকে মজবুত কালভার্ট তৈরী করা যেতো।
চৌগাছা গ্রামের আজাদুর রহমান টিটো বলেন, স্থানীয়রা নির্মানকালে কালভার্টটি নিয়ে অনেক অভিযোগ তুলেছিলো, প্রথমবার সেটা ভেঙ্গে পুরনারায় করা হয়েছিলো কিন্তু তাতেও কোন ফল হয়নি। দূর্নিতীর একটা সীমা থাকে। এদিকে এলাকাবাসীর দাবী দ্রæততার সাথে কালভার্টটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হয় তার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।