পাকিস্তানে মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রথম ধাপে শপথগ্রহণ সম্পন্ন
শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মন্ত্রিসভার সদস্যরা। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম ধাপে ৩১ জন ফেডারেল মন্ত্রী, তিনজন রাজ্য মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী তিনজন উপদেষ্টার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
আইন-ই-সদরে আয়োজিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি নতুন মন্ত্রীদের শপথ করাতে অপারগতা জানানোর পর শপথগ্রহণের দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে সাদিক সানজারানি নতুন মন্ত্রীদের শপথ করান।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য গত শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শাহবাজের সঙ্গে বৈঠক করেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি।
এর আগে আসিফ আলি জারদারি সাংবাদিকদের বলেন, পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না কারণ তিনি চেয়েছিলেন জোট শরিকদের আগে স্থান দেওয়া হোক। পরে পিপিপির এই নেতা ব্যাখ্যা করে বলেন, তার মানে এই নয় যে তার দল মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই। এরপর জাতীয় অধিবেশনে ভোটাভুটিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরিফ।
এদিকে, পাঞ্জাবের গভর্নর ওমর সরফরাজ চিমা স্থগিত রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী পদে জয়ী হওয়া হামজা শাহবাজের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। রোববার (১৭ এপ্রিল) পাঞ্জাবের গভর্নর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাঞ্জাবের অ্যাসেম্বলিতে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেটা খুবই নিন্দনীয়। তিনি বলেন, আমি নিজেও একজন রাজনৈতিক কর্মী, ভোটের জন্য যুদ্ধ করছি এবং এটা খুবই ভুল নজির স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক অফিসে বসে আমি অসাংবিধানিক কাজকে সমর্থন করতে পারি না। তিনি বলেন, আমি এই শপথ গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করবো যখন আমি সন্তুষ্ট হবো যে এই নির্বাচন সংবিধান এবং লাহোর হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে পরিচালিত হয়েছে।
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর চৌধুরী সারওয়ারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে চৌধুরী মুহাম্মদ সারওয়ারের কাছে উসমান বুজদার তার পদত্যাগপত্র দাখিল করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদটি খালি হয়।