পাইকগাছায় ১৬টি দলিত পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা : অভিযোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে চর ভরাটি জায়গায় বসবাস করতে যেয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের কবলে পড়েছে ১৬টি দলিত পরিবার। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বোয়ালিয়াস্থ নিহাতপুর মৌজায় ১৬টি দলিত (জেলে/মালো) পরিবারের সর্বস্ব কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। মাথা গুজার ঠাই হিসেবে বেছে নেয় নদীর অপর প্রান্তে জেগে ওঠা চরের বুকে। কয়েক বছর শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও সম্প্রতি কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের উচ্ছেদের জন্য পায়তারা করছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। ১৬জনের স্বাক্ষরিত এ অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর। যাতে অভিযুক্ত করা হয়েছে, স্থানীয় রঞ্জন বিশ্বাস, দেবব্রত বিশ্বাস, মোকছেদ গাজী, মজিদ মোড়ল ও এস,কে ব্রিকস-এর স্বত্ত¡াধিকারী ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধু। গদাইপুর ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দু’চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে তারা পার্শ্ববর্তী রাড়–লী ইউনিয়নের পাশে কপোতাক্ষ নদের তীরে হিতামপুর মৌজায় জেগে ওঠা চরের বুকে টোঙ ঘর বেঁধে বসবাস করছে। সম্প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালীরা উক্ত জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে তাদেরকে বিতাড়িত করার জন্য যাতায়াতের পথ কেটে দিয়েছে। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে মাটি নৌকা ভরে এস,কে ব্রিকস-এর মালিক পাশে অবস্থিত ইটের ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে ভদ্রকান্ত বিশ্বাসের ছেলে অসীম বিশ্বাস জানান। ভবিষ্যতে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসরত জায়গার উপর ভোগ দখল ও প্রভাবশালীদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে পারে সে জন্য অসীম বিশ্বাসসহ ১৬জন বাদী অভিযোগ দিয়েছে। এস,কে ব্রিকস-এর মালিক সমীরণ সাধু জানান, অভিযোগকারীদের জায়গা থেকে কোন মাটি কাটা হয়নি। বরং ভাটার সময় জেগে ওঠা চর ভরাটি জায়গা থেকে মাটি কাটা হয়। যাতে কারোর কোন ক্ষতি হয় না।