পাইকগাছায় বৃদ্ধাকে বেঁধে মারপিট করে ঘরবাড়ী ভাংচুর : আটক ৪
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় মধ্যযুগীয় কায়দায় দুর্বত্তরা হতদরিদ্র বৃদ্ধা সখিনাকে বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে ঘরবাড়ী ভাংচুর,বই- খাতা পুকুরে, সব কিছু তছনছ করে ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ। দাদীকে ঠেকাতে এসে কেয়া নামে এক এইচ এসসি পরীক্ষার্থী মারপিটের স্বীকার! পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দা, কুড়াল, ৪টি মটরসাইকেল উদ্ধারসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ। বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী এ সন্ত্রাসী ঘটনার বিচার দাবী করেছেন। শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার সিলেমানপুরে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসতবাড়ীর ২৫ শতক জমি নিয়ে স্থানীয় আব্দুল গাজী ও তাঁর চাচাতো বোন সখিনা (৬৫) র সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে মিমাংশার জন্য দফা শালিশী বৈঠক হলেও কোন সমাধান মেলেনি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ বৃদ্ধার ৩ ছেলে যশোরে ইটের ভাটায় কর্মরত থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে আব্দুল গাজীর ছেলে ইউসুপ-ইউনুছের নেতৃত্বে বহিরাগত রবিউল মোড়ল, মোস্তফা, আকবর, সবুজ গংরা রান্না করা অবস্থায় সখিনাকে বেঁধে ফেলে অল্প সময়ের তান্ডব চালিয়ে বসত ঘর ভাংচুর করে কাথা, কাপড়-চোপড়, ভাতের হাড়ী ও পরীক্ষার্থী পুতনির ব্যবহৃত পোশাক বই-খাতা পাশ্বের পুকুরে ফেলে দেয়। আহত সখিনা অভিযোগ করেন চাচাতো ভাই আব্দুল্লার ছেলের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা,হাফিজা তাঁর হাত-বেধে ওদের স্বামী ও বহিরাগতরা মারপিট করে তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর করে ক্ষয়-ক্ষতি করেছেন।
এইচএসসি পরীক্ষার্থী কেয়া জানান, প্রাইভেট পড়ে বাড়ী ঢুকে দেখি ভাংচুর চলছে, দাদী সখিনার হাত-বাঁধা কান্না কাটি করছে সব কিছুই তছনছ। আমি প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা আমাকে মারপিট করে। বই খাতা পুকুরে পরীক্ষার কি হবে এ ছাত্রী এখন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে স্থানীয়া জানান। খবর পেয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু সাঈদ,প্রভাষ মিত্র,লিটন অধিকারী ঘটনাস্থলে পৌছে বহিরাগতদের ৪টি মটর সাইকেল, দা -কুড়াল উদ্ধার করে ইউসুফ গাজী, মোস্তফা, মঞ্জুয়ারা ও হাফিজাকে আটক করেছেন। ওসি এমদাদুল হক শেখ ঘটনা স্বীকার করে এ জঘন্য ঘটনার মামলা হবে বলে জানিয়েছেন।