পাইকগাছায় বাগদা পোনা হ্যাচারী কোম্পানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় বাগদার পোনার ব্যাপক সংকট, প্রচুর দাম ও কক্সবাজারের ৩৫টি বাগদা হ্যাচারীর অধিকাংশ মালিকরা প্রতি প্যাকেটে প্রায় এক হাজার পোনা গণনায় কম দিচ্ছে। ফলে চিংড়ী চাষিরা টাকা ও পোনায় প্রতারিত হচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয় পোনা ব্যাবসায়ী ও ভোক্তাদের চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় পেনা ব্যবসায়ী সমিতি সুত্রে জানা যায়, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় ৮০র দশক থেকে চিংড়ী চাষ হয়ে আসছে। উৎপাদিত চিংড়ী দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপর্জন করে আসছে। যা এবছর বন্ধ থাকায় চাষীরা উৎপাদন খরছ তুলতে হিমশিম খাচ্ছে। তারপর চলতি বছর পোনার প্রচুর সংকট। দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় তিন থেকে চার গুন বেশি। ২/৩শ টাকার পোনা বিক্রি হচ্ছে নয় থেকে এক হাজার টাকায়। সরবরাহ ৮০% কম। পাইকগাছায় প্রতিদিন ১০ হাজার বক্স পোনার চাহিদা। সরবরাহ মাত্র দু’হাজার বক্স। যার প্রতি বক্সে দশ হাজার /এগার হাজার কোম্পানি গুলো হিসাব ধরছে। প্রতি বক্সে দুটি পলি বা প্যাকেট থাকে। যাতে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার পোনার হিসাব ধরা হয়। চাষীরা কেনার পর তা গণনায় ৯ থেকে এক হাজার কম পাচ্ছে। এক হাজার পোনার দাম নয়শ টাকা। হিসাব মতে বক্স প্রতি এগার হাজার পোনার দাম ৯ হাজার ৯শ টাকা ভোক্তাকে দিতে হচ্ছে। অথচ ভোক্তা বা চাষীরা বক্সে পোনা পাচ্ছে ৮ থেকে ৯ হাজার। প্রতি বক্সে ক্রেতারা ২ হাজার পোনায় প্রায় ২ হাজার টাকা প্রতারনার শিকার হচ্ছে। যা নিয়ে সম্প্রতি ব্যবসায়ী ও চিংড়ী চাষীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। খুলনা বিভাগীয় চিংড়ী পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক ও গালফ হ্যাচারী মালিক গোলাম কিবরিয়া রিপন বলেন, স্থানীয় হ্যাচারীর মালিকরা এটা করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কক্সবাজারের অধিকাংশ হ্যাচারী কোম্পানীর বিরুদ্ধে বক্সের প্রতি প্যাকেটে প্রায় এক হাজার পোনা কম পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ সত্য ও নানা সময় পোনা ব্যবসায়ীদের সাথে এ নিয়ে নানা ভাবে ঝামেলা হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন। চিংড়ি চাষী মোবারেক সরদার বলেন, এবছর পোনা মারাত্মক ভাবে ঠকছি। নিরবিলি হ্যাচারীর ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, হাজার হাজার লোকের সামনে পোনা গণনা করা হয়। পোনা কম দিয়ে আমরা চাষীদের ঠকাইনা।