পাইকগাছায় জেঁকে বসেছে শীত চরম দূর্ভোগে সাধারণ মানুষ
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছায় মৌসুমের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। টানা কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় বেকায়দায় পড়েছেন নি¤œ আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। দেখা দিয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রার্দূভাব। বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত কয়েকদিনে দুই শতাধিক শিশু ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছে বলে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়েছেন।
সারাদেশের ন্যায় মৌসুমের শীত জেঁকে বসেছে অত্র উপজেলায়। ঘনকুয়াশা আর শীতের প্রচন্ড তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে সূর্য। দুপুরের দিকে কিছুটা দেখা গেলেও হিমেল বাতাসের কাছে ¤øান হয়ে যাচ্ছে সূর্যের তাপমাত্রা। ফলে নি¤œ আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বান্দিকাটী গ্রামের দিনমজুর ইউনুছ আলী গোলদার জানান, প্রতিদিন কাজ করে সংসার চালাতে হয়। প্রচন্ড শীতের কারণে স্বাভাবিক কোন কাজ করতে পারছি না। আমার মতন শ্রমজীবী সবাই শীতের কারণে বেকায়দায় পড়েছে। এদিকে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হাপানি, সর্দী-কাশি, এলার্জি, টনসিল ও চর্মরোগ সহ ঠান্ডা জনিত রোগের প্রার্দূভাব। যার বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
ড়ইখালী গ্রামের গৃহবধু মুন্নি বেগম জানান, আমার বাচ্চাটি গত ৪/৫ দিন ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতের তীব্রতা এতবেশি যেন কোন ঔষধ কাজে আসছে না।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আলহাজ্ব মুহাম্মদ কওসার আলী গাজী জানান, শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এ ধরণের সমস্যায় বেশিরভাগ আক্রান্ত হয় শিশুরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দুই শতাধিক শিশুকে দেখেছি। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছে। তিনি ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে শিশুদের সুরক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে খালি পায়ে না হাটা, বাইরে কম বের হওয়া, ঠান্ডা বাতাস না লাগানো, মটরসাইকেল জাতীয় যানবাহন না চড়া, প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কাপড় ব্যবহার না করা, বিশুদ্ধ হালকা উষ্ণ গরম পানি খাওয়া ও গোসল করা, গরম কাপড় ব্যবহার করা সহ অপুষ্টিজনিত শিশুদের তাপযুক্ত স্থানে রাখার জন্য পরামর্শ দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না জানান, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি দু’একদিনের মধ্যে শীতার্থ মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।