পাইকগাছায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার
পাইকগাছা প্রতিনিধি
পাইকগাছা পৌর সদরে নাজমিন নাহার শিউলী (২৬) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ বাতিখালীর ব্যবসায়ী মুজিবর গাজীর ভাড়াটে বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শিউলীর লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ভাঙ্গা কাঠের চলা উদ্ধারসহ নিহতের স্বামী বাবুল ঢালীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সুরোত হাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে লাশ ময়না তদন্তের খুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এদিকে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন শিউলীকে হত্যা করে তার মৃতদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে, যার নং- ৪।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রায় ৬ বছর পূর্বে উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া ৬নং ওয়ার্ডের আয়ুব ঢালীর ছেলে বাবুলের সাথে কয়রা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে নাজমিন নাহার শিউলীর সাথে বিবাহ হয়। এ দম্পত্তির ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বাবলু স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড (হাসপাতালের পিছনে) মুজিবর গাজীর ভাড়া বাসায় থাকেন।
প্রতিবেশীরা জানান, বাবলু প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকাল ৮ দিকে কর্মস্থল মাছের ডিপোয় যায়। বেলা ১১ টার দিকে শিউলীকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। ওসি মোঃ এজাজ শফী ঘটনাস্থলে পৌছে আলামত সহ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন।
শিউলীর কাকা বালিয়াডাঙ্গার আবুল কাশেম ঢালী ও ভাই আবুল বাসার ও ওহাব জানান, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে মিমাংসা হয়। তার পিতা সিরাজুল ইসলামসহ পরিবারের অভিযোগ কলহের জেরে মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিহতের স্বামী বাবুলকে আটকের কথা উল্লেখ করে ওসি মোঃ এজাজ শফী বলেন, সংবাদ পাওয়া মাত্রই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ও নামানোর পরেও দেখেছি, যা খুবই রহস্য জনক। এছাড়া মৃতের শরীরে তদাধিক আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্ট ধারায় নিহতের পিতা থানায় বাবলুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়