পাইকগাছার তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার করার সিদ্ধান্ত
পাইকগাছা প্রতিনিধি
কথায় আছে যার শেষ ভাল, তার সব ভাল, বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী মঙ্গলবার ছিল ইংরেজি ২০১৯ সালের শেষ দিন। আজ বুধবার থেকে শুরু হবে নতুন বছর। বছরের শেষ দিনটিকে ঐতিহাসিক ভাবে স্মরণীয় করে রাখলেন পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মাদ আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না। মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের এক প্রস্তুতি সভা আহবান করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে সভার সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ইউএনও জুলিয়া সুকায়না সভায় উপজেলার উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক পর্যায়ের তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এটি বাস্তবায়নে তিনি সভায় উপস্থিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দেশনা দেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মাদ আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, হাবিবুল্লাহ বাহার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবদীন, প্রাক্তন অধ্যক্ষ রমেন্দ্রনাথ সরকার, প্রধান শিক্ষক খালেকুজ্জামান ও দীপক চন্দ্র সরকার।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু ও উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মাদ আলীর সার্বিক নির্দেশনায় ইউএনও জুলিয়া সুকায়না উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিশাল আকারের দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও একুশে মঞ্চ’ নির্মাণ করেন। অনুরূপ ভাবে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানে ‘বঙ্গবন্ধু ইকোপার্ক’ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন। কর্মক্ষেত্র পাইকগাছা থেকে চলে যাবার প্রাক্কালে তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বছরের শেষ দিনটি ঐতিহাসিক ভাবে স্মরণীয় করে রাখলেন ইউএনও জুলিয়া সুকায়না। এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের সকল সংগঠন ও এলাকাবাসী।