পাইকগাছার চৌকিদার জলিল হত্যা মামলায় দুই আসামীর যাবজ্জীবন
দ. প্রতিবেদক
পাইকগাছা উপজেলার আটিপাড়া বাজারে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে নিহত গ্রাম্য চৌকিদার আব্দুল জলিল হত্যা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দুইজনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের জেল দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার রেজওয়ান গোলদারের ছেলে শহিদুল গোলদার ও পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের সুলতান শেখের ছেলে আনোয়ারুল শেখ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালে পাইকগাছা থানার পুলিশ জানতে পারে ওই দিন অস্ত্রের একটি চালান কাটিপাড়া বাজার এলাকা দিয়ে যাবে। এটা জানতে পেরে পুলিশ বাজারে চেকপোস্ট বসায়। সকলের দেহ তল্লাশি করতে থাকে পুলিশ। এরই মধ্যে পাইগাছার চিহ্নিত তিন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলযোগে দুপুর ২টার দিকে কাটিপাড়া বাজারে পৌঁছায়। বাজারে পৌছানো মাত্র পুলিশ তাদের গতি রোধ করে। এসময় পুলিশ সদস্য দীপংকর তাদের কাছে পৌঁছানো মাত্র সন্ত্রাসী শহিদুল কোমর থেকে পিস্তল বের করে পুলিশের গলায় ঠেকিয়ে ধরে। শুরু হয় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এটা দেখে গ্রাম্য চৌকিদার জলিল তাদের নিকটে গেলে শহিদুল তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিটি জলিলের মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরপরই পুলিশের অন্য সদস্য জামাল এগিয়ে গেলে তার কাছ থেকে রাশেদ গোলদার রাইফেল কেড়ে নেয় এবং মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে পুলিশের হাতে আটক হয় ঘাতক শহিদুল গোলদার।
এ ঘটনায় পাইকগাছা থানার এসআই মোঃ আবু দাউদ শিকদার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- শহিদুল গোলদার, রাশেদ গোলদার ও আনোয়ার। ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশের খোয়া যাওয়া রাইফেল ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় তিন দফায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রীর নারাজি আবেদনের কারণে দ্বিতীয় দফায় আরও তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় চার্জশিটে। তারা হলেন- ওই এলাকার মজিদ গোলদার, আজিজ গোলদার ও ফজলুর রহমান মোড়ল। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে এই তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়