পরীক্ষামূলক পর্যায়ে দেশে ‘চালু হলো’ ৫জি সেবা
ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রা ত্বরান্বিত করা এবং পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তির সুবিধা চালুর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভিত্তিতে ফাইভজি সেবা চালু করেছে।
রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইভজি সেবা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ‘ফাইভজি’র সাথে নতুন যুগ’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন।
পরীক্ষামূলক এ পর্যায়ে প্রাথমিকভাবে ছয়টি সাইটে ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করার কথা জানিয়েছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয়, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া।
২০২২ সালের মধ্যে রাজধানীর প্রধান এলাকাসহ ঢাকায় দুইশ’ ফাইভজি বেজ স্টেশন তৈরি করার কথা বলেন টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন। এই পর্যায়ের সিংহভাগেই হুয়াওয়ের অবকাঠামোগত সেবা ব্যবহার করার কথা যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে টেলিটক ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশ।
প্রথম পর্যায়ে পূর্বনির্ধারিত নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহক ফাইভজি সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর জেলা পর্যায়ে ফাইভজি সাইট নিশ্চিত করার পরিকল্পনা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, “২১ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ইকোসিস্টেমের পরিবারের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশ ফাইভজি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এ মুহূর্তের অংশ ও সহযোগী হতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। হুয়াওয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সেবাদানের মাধ্যমে সবসময় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।”
“আমরা বাংলাদেশে আছি বাংলাদেশের জন্যই।”
হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন বলেন, “হুয়াওয়ে বিশ্বের অনেক দেশে উন্নত ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করার জন্য অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান করছে। আমি বিশ্বাস করি, ফাইভজি প্রযুক্তির ব্যবহার ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশও আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা উপকৃত হবে।”
অনুষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে একটি ফাইভজি সাইট উন্মোচন করা হয়, যার মাধ্যমে অতিথিরা এআর/ভিআর ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নেন, ফাইভজি প্রযুক্তির উদ্ভাবনী ব্যবহারের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে পারেন এবং ৯৬৯ এমবিপিএস গতি ও ৪‚১০ এমএস লেটেন্সি উপভোগ করেন।