পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি, সবার সহযোগিতা দরকার
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা-পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দাসহ জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে। আমরা এর বাইরে নয়। তারপরও আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এর জন্য সবার সহযোগিতাও দরকার।
রোববার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্ট নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা শেষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট শুধু রাষ্ট্রপতিকেই হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছে পুরো পরিবারকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য তিনি কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়েছিল এবং হত্যা করেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় ছিলাম, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি আমাদের কিছু লোক চক্রান্ত শুরু করে। আমেরিকান কোম্পানির গ্যাস নিতে চেয়েছিল সেটাতে আমি সমর্থন করিনি কিন্তু খালেদা জিয়া সেটাতে সমর্থন করে ক্ষমতায় আসেন। নানা ষড়যন্ত্র করে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হলো। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করলো। পাকিস্তানি সেনারা যেভাবে নির্যাতন করেছিল ঠিক সেভাবেই অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়েছিল আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর। একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের ওপর ট্রেনে হামলা হলো। এটা কতটা ন্যক্কারজনক একটি রাষ্ট্রের জন্য। আমরা এগুলো নিয়ে সমাবেশ করলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় সংসদে এগুলো নিয়ে কথা বললাম। আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হলো। ওখানে বললো যে আমি নিজেই নিয়ে গেলাম। সমাবেশে হামলা হলো। খুনিদের সেই রাতে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। রাতারাতি সব আলামত নষ্ট করার চেষ্টা করা হলো। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। আজ গুম-খুনের কথা বলেন জিয়াউর রহমান এই গুম-খুন শুরু করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির আমলে লাশ টানা, বোমাবাজিতে আহত হওয়া- এটা ছিল আমাদের প্রতিদিনের কাজ। আজ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কথা বলেন- ২০০১ সালের নির্বাচন আমরা দেখেছি। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলাম যার কারণেই ২০০৪ সালে আমাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। ২১ আগস্ট হামলার সময় মেজর ডালিম ও রশিদ বাংলাদেশে ছিল। তারা যখন দেখলো আমি মরিনি তারা দেশ ছেড়ে চলে গেলো। সে সময় খালেদা জিয়ার বক্তব্যগুলো আপনারা খেয়াল করবেন।