September 13, 2025
আন্তর্জাতিক

পরাজয় মেনে নিতে ট্রাম্পকে মিত্র ক্রিস্টির অনুনয়

জো বাইডেনের কাছে নির্বাচনে হেরেছেন। ‘হারলেও গদি ছাড়বো না’ এমন পণ থেকেই ট্রাম্প ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। অর্থাৎ, তিনি কোনোভাবেই পরাজয় মেনে নিতে রাজি নন, স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন সেটিও। কিন্তু, এটি যে বাড়াবাড়ি তা তাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার লোকের বড় অভাব। তবে এবার তার মিত্র হিসেবে পরিচিত নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি পরাজয় মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
ক্রিস্টির অনুরোধ, পরাজয় ঢাকতে ট্রাম্প যেসব প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তা যেন বন্ধ করেন। খবর বিবিসির।

নির্বাচন বিষয়ে প্রেসিডেন্টকে আইনি সহায়তায় গঠিত দলকে নিউ জার্সির সাবেক এ গভর্নর অভিহিত করেছেন, ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে হলে প্রয়োজন হয় ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জো বাইডেন ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছে ৩০৬টি। বিপরীতে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি। এতে বেজায় চটেছেন ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ এনেছেন, ভোটে কারচুপি হয়েছে। তাই তিনি ফলাফল মেনে নেবেন না। নির্বাচনী ফলকে বিতর্কিত করতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে তার পক্ষ থেকে করা হয়েছে মামলাও। ইতোমধ্যে কিছু মামলা খারিজ করা হয়েছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে।

অনেক রিপাবলিকান তার প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানালেও দলের মধ্যেই তার আইনি পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন এমন লোকও রয়েছে।

ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপ ডেমোক্র্যাটরা মেনে নিচ্ছে না, শোনা যাচ্ছে দলের মধ্য থেকেও কেউ কেউ ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু তাতে ট্রাম্পের কোনো বিকার লক্ষ করা যাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস্টি স্থানীয় সময় রোববার (২২ নভেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোনো ভণিতা না করেই বলছি, প্রেসিডেন্টের লিগ্যাল টিম জাতির জন্য বিব্রতকর।

নিজেকে ‘প্রেসিডেন্টের সমর্থক’ এবং তাকে ‘দুইবার ভোট দিয়েছেন’ উল্লেখ করে ক্রিস্টি বলেন, এ আইনি দল, কোর্টরুমের বাইরে নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে গলা ফাটায় কিন্তু কোর্টের ভেতরে তারা তাদের অভিযোগ প্রমাণে যথেষ্ট তৎপর নয়। নির্বাচনের ফলাফল হয়েছে। আর এতে যেটা হয়নি সেটা হয়েছে মনে করে আমরা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারি না।

নির্বাচনে জয়ী জো বাইডেন ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। ক্ষমতা কীভাবে হস্তান্তর হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *