পদ্মা সেতুতে বাস-প্রাইভেটকার থামিয়ে সেলফি তোলার হিড়িক
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর প্রথম দিনেই বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল থামিয়ে মোবাইল ক্যামেরায় সেলফি তোলার হিড়িক পড়েছে।
যদিও পদ্মা সেতুর ওপর যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে ছবি তোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবুও উৎসুক জনতাকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ছবি তুলতে দেখা যায়
সেতু কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা, পদ্মা সেতুর ওপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা বা হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ।
রোববার (২৬ জুন) সকালে পদ্মা সেতুর মাঝামাঝিতে সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতু দেখতে আসা বেশিরভাগ মানুষ গাড়ি থামিয়ে একক ও দলগত ছবি তুলছেন। কয়েকটি বাস থামিয়েও যাত্রীদের নেমে ছবি তুলতে দেখা যায়।
ছবি তোলা অবস্থায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় এক তরুণীর। আফরিন শারমিন নামে ওই তরুণী বলেন, পদ্মা সেতু দেখতে এসে ছবি তুলবো না- তা কীভাবে হয়। অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো।
হামীম এক্সক্লুসিভ পরিবহনের বাস পদ্মা সেতুর মাঝামাঝিতে থামিয়ে সব যাত্রী নেমে তুলছিলেন ছবি। জানতে চাইলে বাসচালক বলেন, যাত্রীরা সেতুতে নামার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর বাস থামালে একে একে সব যাত্রী নেমে যান ছবি তুলতে।
সেতুতে বাস থামানো এবং ছবি তোলায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এ বিষয়টি জানেন কি না জানতে চাইলে এই চালক বলেন, না আমি এটা জানি না
নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে ১০টি মোটরসাইকেলে ২০ জন এসেছেন পদ্মা সেতু দেখতে। তাদের মধ্যে শামীম আহসান বলেন, পদ্মা সেতুতে এসে ছবি তুলবো না- তা কি হয়। ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি সবাই দেখবে। এখানে আসা আমাদের জন্য অন্য রকম আনন্দের। এই আনন্দ ভাগাভাগি করতেই ছবি তুলছি।
পদ্মা সেতু দেখতে ছোট ছোট দুই শিশুসহ পরিবার নিয়ে প্রাইভেটকারে করে ঢাকা থেকে এসেছেন সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম। প্রাইভেটকার থেকে নেমে তিনিও সপরিবারে তুলছিলেন ছবি। সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাচ্চারা গতকাল থেকেই পদ্মা সেতু দেখতে চাচ্ছিলো। এ কারণে আজ সকালে তাদেরকে নিয়ে পদ্মা সেতুতে এসেছি। এসে দেখি সবাই গাড়ি থেকে নেমে ছবি তুলছেন। এ কারণে আমরাও গাড়ি থেকে নেমে স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ছবি তুলে রাখলাম।