পদ্মা সেতুতে বসলো ১৬তম স্প্যান দৃশ্যমান আড়াই কিলোমিটার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পদ্মা সেতুর ১৬তম স্প্যান বসার মধ্য দিয়ে আড়াই কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের উপর ‘থ্রি ডি’ নম্বরের স্প্যানটি বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির। এর মধ্য দিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর ২২৫০ মিটার বা দুই কিলোমিটারের অধিক দৃশ্যমান হলো। এছাড়া এ মাসেই পদ্মা সেতুতে আরও ২টি স্প্যান বসবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সকল ৯টার দিকে ভাসমান ক্রেন তিনাই-ই-তে করে স্প্যানটি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নদীতে কুয়াশা থাকায় সকাল পৌনে ১০টায় এটি রওনা হয়।
কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের দূরত্ব কম হওয়ায় এটি নিয়ে যেতে ভাসমান ক্রেনের তেমন সময় লাগেনি। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই স্প্যানটি পিলারের উপর বসানো সম্ভব হয়েছে।
হুমায়ুন কবির জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ‘ফোর ডি’ নম্বর স্প্যানটি ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটিতে বসানো হবে। এটির প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন। এছাড়া ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের উপর আরও একটি স্প্যান এ মাসে বসানো হবে।
তিনি আরও জানান, ২২ ও ২৩ নম্বর খুঁটির জন্য তৈরি করা ‘ফোর ডি’ স্প্যানটি ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির কাছে প্লাটফরম তৈরি করে নদীর তীরে রাখা আছে। কিন্তু নদীর চ্যানেলের নাব্যতা কম থাকার কারণে স্প্যানটি সেখান থেকে তুলে এনে স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে। পলি জমে থাকায় নাব্যতা সঙ্কটে ক্রেনবাহী জাহাজ খুঁটির কাছে পৌঁছতে পারছিল না। তাই স্প্যান বসাতে বিলম্ব হচ্ছিল। তবে দিনরাত ড্রেজিং করে ওই এলাকায় নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর ১৫তম স্প্যানটি বসেছিল। ২৮ দিন পর ১৯ নভেম্বর ১৬তম স্প্যানটি বসানো হলো। তবে নাব্যতা সঙ্কট না হলে এই সময়ের মধ্যে আরও একাধিক স্প্যান বসতে পারত বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সেতুর এই প্রকৌশলী বলেন, সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৩৩টি খুঁটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি ৯টি খুঁটির কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এখন শুধু পাইলের উপর ক্যাপিং করার কাজ রয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই সেতুর কাঠামো।