December 23, 2024
জাতীয়

পদ্মাসেতুর ১২-১৩ নম্বর পিলারে অস্থায়ী স্প্যান

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

পদ্মাসেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে ‘৫-এফ’ স্প্যান। তবে উপযুক্ত সময় বুঝে স্প্যানটি সরিয়ে নিয়ে স্থায়ীভাবে বসানো হবে সেতুর ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের উপর। মাওয়া প্রান্ত থেকে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর জন্য কাজের সুবিধার্থে অস্থায়ীভাবে এ স্প্যানটি বসানো হয়েছে।  সেতুর ১৩ থেকে ১৭ নম্বর পিলারের চারটি স্প্যানে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর মাধ্যমে মাওয়া প্রান্তে প্রথম শুরু হবে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় স্প্যান বসানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন মূল সেতুর প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীর। এর আগে সকাল ৯টায় মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নিয়ে রওনা করে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট সময়ের মধ্যেই স্প্যানটি নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায়।

প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, মাওয়াপ্রান্তের ৩-এ, ৩-বি, ৩-সি, ৩-ডি এই চারটি স্প্যানে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হবে। এর জন্য কাজের সুবিধার্থে অস্থায়ী একটি স্প্যান রাখা হয়েছে পিলারের উপর। এর মাধ্যমে মাওয়ায় শুরু হবে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ। স্ল্যাব বসানো শেষ হলে আবার এটি সরিয়ে নেওয়া হবে।

স¤প্রতি ১৭ তম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে সেতুর আড়াই কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হয়েছে। সেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলার এবং ২১ ও ২২ নম্বর পিলারে ‘৪-সি’ ও ‘৩-সি’ এর মধ্যে একটি স্প্যান হবে ১৮ তম। পদ্মাসেতুতে ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসেছে ৩৬২টি। এছাড়া ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ১ হাজার ৭০০টি।

পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *