পদ্মাসেতুর রোডওয়েতে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকেই দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় স্প্যানে একটি স্ল্যাব বসানো হয়। এর মাধ্যমেই পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদ্মাসেতুতে রেলওয়ের স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়।
দুই মিটার প্রস্থ ও প্রায় ২২ মিটার দৈর্ঘ্যের রোডওয়ে স্ল্যাবগুলো স্প্যানে বসানো হচ্ছে। জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে প্রস্তুত করে রাখা আছে ৫০০টি স্ল্যাব। পুরো পদ্মাসেতুতে ২ হাজার ৯৩১ টি স্ল্যাব বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে জানান, এসব স্ল্যাব মূলত প্রি-কাস্ট স্ল্যাব। স্প্যানে বসানোর পর এগুলো টেনশনিং করা হবে। রডের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত টেনশনিং করে আটকে দেওয়া হবে। যাতে কোনো নড়াচড়ার সম্ভাবনা না থাকে ভবিষ্যতে। স্ল্যাব বসনোর আরো কয়েকটি ধাপের কাজ শেষে সেতু গাড়ি চলাচলের উপযুক্ত হবে।
মঙ্গলবার জাজিরায় প্রথম রোডওয়েতে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। সকালে একটি স্ল্যাব কোনো সমস্যা ছাড়াই বসানো সম্ভব হয়েছে। কাল থেকে বাকি স্ল্যাব বসানো হবে স্প্যানগুলোতে। একটি স্প্যানে ৭৪টির মতো রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। স্ল্যাব বহনকারী ক্রেনটিকে নির্ধারিত স্থানে সুবিধাজনক উচ্চতায় রেখে স্ল্যাবটি বসানো হয়।
জানা যায়, মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। স্প্যান বসানো হয়েছে ৮টি, বাকি আছে ৩৩টি।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। জাজিরা প্রান্তে সেতুর ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২ পিলারে সাতটি স্প্যান ও মাওয়া প্রান্তে ৫ ও ৬ নম্বর পিলারে একটি অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয়েছে।