পদ্মায় মিলল সেই ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ
পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন কাদের রূপমের (৩৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরিরা।
পরে তা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে, শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে নিখোঁজ হন ওই কর্মকর্তা।
পদ্মায় ডুবে মারা যাওয়া সালাহউদ্দিন কাদের রূপম উত্তরা ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখায় কর্মরত। তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার শ্রীমন্তপুরের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর নাম মানজুরি তানভীর নিশি। তিনি পেশায় গৃহিনী। এই দম্পতিসহ প্রায় ২০ জন শ্রীমন্তপুর এলাকা থেকে শুক্রবার দুপুরে নৌকায় চড়ে পদ্মার বালুগ্রাম চরে পিকনিকে গিয়েছিলেন। স্বামীর সঙ্গে গোসল করতে নেমে পদ্মায় ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার লিডার আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ডুবুরি ইউনিটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার সন্ধানে সেখানে উদ্ধার অভিযান চালায়। কিন্তু সন্ধান না পাওয়ায় আলোর স্বল্পতার কারণে সন্ধ্যা ৭টায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
আজ ভোর ৬টার পর থেকে জেলেদের জাল নিয়ে আবারও উদ্ধার অভিযান চলানো হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ ওই ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমানায় থাকা গোদাগাড়ী পৌর এলাকার সুলতানগঞ্জের বিপরীতে বালুগ্রাম নামক স্থানে পদ্মা নদীতে এই ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই জায়গাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যে পড়েছে। সেখানে পিকনিকে গিয়েছিলেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাদ্মার চরে পিকনিকে গিয়ে রান্না শেষ হলে কয়েকজন পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় স্রোতের তোড়ে ব্যাংক কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন ও মানজুরিসহ আরও তিনজন নদীতে তলিয়ে যান। এরপর অন্যরা নদীতে নেমে মানজুরিসহ দুইজনকে উদ্ধার করেন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মানজুরির মৃত্যু হয়। নিশি ক্রিকেটার সানজামুল ইসলামের বড় বোন এবং সালাউদ্দিন কাদের দুলাভাই।