পটিয়ার সাবেক ওসি ও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পৌনে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সাবেক ওসি মো. রেফায়েত উলাহ চৌধুরী ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রবিবার কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সংস্থাটি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা রেফায়েত উলাহ বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জে কর্মরত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন রেফায়েত উলাহর দুই ভাই মো. আফতাব উলাহ চৌধুরী ও মো. হাফিজ উলাহ চৌধুরী। আসামিরা কুমিলার লাকসামের দৌলত বাজার এলাকার রহিম উলাহ চৌধুরীর ছেলে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা আয় বহির্ভূত দুই কোটি ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। এর মধ্যে এক কোটি ৬৯ টাকা স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেন তারা। এসব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে রেফায়েত উলাহ চৌধুরীর নামে এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে মোট ১২টি হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার রুমার নামে এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ছয়টি হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। রেফায়েত উলাহ চৌধুরী ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন বলে উলেখ করা হয় মামলায়।
পরবর্তীতে তিনি স্ত্রী নাসরিন আক্তার রুমার ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত টাকা নিজের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে উত্তোলন করেন। এছাড়া নিজের ব্যাংক হিসাব থেকে ভাই আফতাব উলাহ চৌধুরীকে ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার দুইটি পে-অর্ডার ও আফতাব উলাহ চৌধুরীর নামে ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া রেফায়েত উলাহ চৌধুরী ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকায় চট্টগ্রামে ২১৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট স্ত্রী নাসরিন আক্তার রুমার নামেও কিনেছেন। সব সম্পত্তির বিষয়ে রেফায়েত উলাহ চৌধুরী কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি বলে এজাহারে বলা হয়। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে এই অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন পুলিশ কর্মকর্তা রেফায়েত উলাহ।