নৌকায় ভোট পড়েছে ৫৯ শতাংশ, ধানের শীষে ৩৪
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সদস্য সমাপ্ত ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ৯টি দলের ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী নৌকায় তুলে এনে এনেছেন ৫৯ দশমিক ১০ শতাংশ ভোট। আর ধানের শীষের দুই প্রার্থী পেয়েছেন ৩৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট।
১ ফেব্রæয়ারি দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুই সিটিতে মোট ভোটার ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৮ জন। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৮ জন। যার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীকে অর্থাৎ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন ৮ লাখ ৭১ হাজার ৮০৬ জন। যা প্রদত্ত ভোটের ৫৯ দশমিক ১০ শতাংশ। আর বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রার্থীদ্বয়কে অর্থাৎ ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৬৭৩ জন ভোটার। তার অর্থ ধানের শীষ পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট।
ঢাকা উত্তর সিটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ লাখ ৭২ হাজার ১১ ভোট। আর দক্ষিণে নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস পেয়েছেন ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫ ভোট। অন্যদিকে উত্তরে বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৬১ ভোট। আর দক্ষিণের ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ৬৫ হাজার ১২ ভোট।
অন্য দলগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটি দুই সিটিতেই প্রার্থী দিয়ে নিজেদের ঘরে তুলে নিয়েছে ৫৪ হাজার ৭২৫ ভোট। অর্থাৎ ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে হাতপাখা প্রতীকে। দলটির উত্তরের প্রার্থী শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০০ ভোট এবং দক্ষিণের প্রার্থী মো. আবদুর রহমান পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫২৫ ভোট।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেবল উত্তর সিটিতে প্রার্থী দিয়েছিল। দলটির আহাম্মদ সাজেদুল হক কাস্তে প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১২২ ভোট। যা দুই সিটিতে প্রদত্ত ভোটের এক দশমিক ০৩ শতাংশ। গণফ্রন্ট কেবল দক্ষিণ সিটিতে প্রার্থী দেয়। দলটির প্রার্থী আব্দুস সামাদ সুজন মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট। দুই সিটিতে প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ।
ন্যাশনাল পিপল পার্টির আম প্রতীকে দুই সিটিতে ভোট পড়েছে ৭ হাজার ৮টি। যা মোট প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ। দলটির উত্তরের প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৩ ভোট। আর দক্ষিণের প্রার্থী মো. বাহারানে সুলতান বাহার পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ জন।
জাতীয় পার্টি কেবল দক্ষিণে প্রার্থী দিয়েছিল। দলটির প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন লাঙ্গল মার্কায় পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট। যা দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশ কংগ্রেসও কেবল দক্ষিণে মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহকে প্রার্থী দিয়ে ডাব প্রতীকে নিজেদের ঘরে তুলেছে ২ হাজার ৪২১ ভোট। দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের যা শূন্য ১৬ শতাংশ।
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি কেবল উত্তরে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছে। দলটির প্রার্থী শাহীন খান বাঘ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১১১ ভোট, যা দুই সিটির প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। দুই সিটিতে ভোট পড়েছে ২৭ দশমিক শতাংশ। এর মধ্যে ডিএনসিসিতে ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর দক্ষিণে পড়েছে ২৯ দশমকি ০৭ শতাংশ।
২০১৫ সালের বিভক্ত ঢাকার প্রথম নির্বাচনে উত্তরে ভোট পড়েছিল ৩৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর দক্ষিণে পড়েছিল ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ভোট। ইসি সচিব ইতোমধ্যে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের ধারণা ছিল ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়বে। কিন্তু ধারণার চেয়ে কম ভোট পড়ায় কমিশন পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়।