নোয়াখালীতে প্রাথমিকের ছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’, দর্জি আটক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় এক দর্জিকে আটক করেছে পুলিশ। এ অভিযোগে শিশুটির মা বুধবার বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। আটক আবুল খায়ের (৪৫) উপজেলার কালিরহাট বাজারের দর্জি এবং কৃষ্ণরামপুর গ্রামের হোসেনুজ্জামানের ছেলে। শিশুটিকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বরাতে বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, রাজগঞ্জ ইউনিয়নের তেতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এই ছাত্রী জামার মাপ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকালে কালিরহাট বাজারে আবুল খায়েরের দর্জি দোকানে যায়। এ সময় শিশুটিকে একা পেয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে ধর্ষণ করে আবুল খায়ের। রাতে স্বজনরা শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওসি হারুনুর আরও জানান, খবর পেয়ে রাতে কালিরহাট বাজার থেকে দর্জি আবুল খায়েরকে আটক করে পুলিশ।
একইদিন নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার এক প্রতিবন্ধী শিশুর অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে। ওই ঘটনায় এক তরুণকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার চর হাছান গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। তাকেও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজীম বলেন, ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের বাক প্রতিবন্ধী শিশুটি এখন আশংকামুক্ত। বুধবার সকালে শিশুটির অস্ত্রপ্রচার হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ ও শ্বাসকষ্টের কারণে জরুরি হলেও মঙ্গলবার তার অস্ত্রপ্রচার করা সম্ভব হয়নি বলে মহিউদ্দিন জানান। গ্রেপ্তার রাকিব হোসেন (১৯) চর হাছান গ্রামের মহসিনের ছেলে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় রাকিব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে চরজব্বর থানার ওসি সাহেদ হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে রাকিব হোসেন পাশের বাড়ির শিশুটিকে চকলেটের প্রলাভন দেখিয়ে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পুলিশ রাকিবের সন্ধানে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। বুধবার তাকে কৌশলে গাজীপুর জেলা থেকে সুবর্ণচরের কাঞ্চন বাজারে ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়।