নেপালের কাছে হেরে রানার্সআপ বাংলাদেশ
ক্রীড়া ডেস্ক
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়ে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। একই গ্র“প থেকে সেমি নিশ্চিত করেছে নেপালও। গ্র“পপর্বে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ছিল স্বাগতিকদের হারানো। চ্যালেঞ্জে হেরেছে সাবিনারা। নিয়মরক্ষার ম্যাচে গতকাল শনিবার স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ৩-০ গোলে বাংলাদেশ নারী দল।
বিরাটনগরের শহীদ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩-১৫ মিনিটে নেপালের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। বল ক্লিয়ার করতে এগিয়ে আসেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। নিজেদের এক খেলোয়াড়ের মাথায় বল লেগে নিজেদের জালে জড়ায়। ২৩ মিনিটের মাথায় আবারো ভুল করেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। এগিয়ে এসে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। জালের সামনে নেপালের দুই খেলোয়াড় বল দেওয়া-নেওয়ার মধ্য দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন। ২৮ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে আরও একটি গোল করে নেপালের মেয়েরা। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর অবশ্য আর কোনো গোলের দেখা পায়নি নেপাল, বাংলাদেশও পারেনি গোল শোধ করে হারের ব্যবধান কমাতে। তাতে গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমি ফাইনালে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ পাওয়া হলো না বাংলাদেশের।
‘বি’ গ্র“পে মালদ্বীপকে হারিয়ে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। মালদ্বীপের জালে ভারত বল পাঠিয়েছে ছয় বার ও লঙ্কানরা দুবার। আজ গ্র“প পর্বের শেষ দিনে দুই দল লড়বে গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হতে। এই ম্যাচে ফেভারিট সবগুলো সাফের আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। সেজন্য বাংলাদেশের হিসেব-নিকেশটাও করতে হচ্ছিল। নিজেদের ‘এ’ গ্র“পে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে সম্ভাব্য ‘বি‘ গ্র“প চ্যাম্পিয়ন ভারতকে এড়াতে পারতো বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হিসেবে থাকলো নেপাল আর ‘বি‘ গ্র“পের রানার্সআপ হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যেখানে প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারিয়েছে ২-০ ব্যবধানে, নেপাল ভুটানকে হারিয়েছিল ৩-০ ব্যবধানে। বাংলাদেশ এর আগে সাফে দুবার নেপালের মুখোমুখি হয়ে দুবারই হেরেছিল। ২০১০ কক্সবাজার সাফে সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে, ২০১৪ ইসলামাবাদ সাফে ১-০ গোলে হেরেছিল মেয়েরা।