November 27, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

নেপালকে রেল ট্রানজিট দেয়া হচ্ছে

রেলপথে নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য নেপালের সঙ্গে থাকা ট্রানজিট চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

সোমবার (১০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে ‘অ্যাডেনডাম টু দ্য প্রটোকল টু দ্য ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্মেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য গভর্মেন্ট অব দ্য ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপাল’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৭৬ সাল থেকে নেপালের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট আছে। সেই ট্রানজিট এগ্রিমেন্টের মধ্যে নেপাল একটি রিকোয়েস্ট করেছে আমাদের রোহনপুর আর ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে যে রেলপথ আছে সেখানে আরেকটি ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার জন্য।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৬ সাল থেকেই এই প্রোটোকলটা আছে, নতুন আরেকটা ওপেনিং হলো। রোহনপুর ও সিঙ্গাবাদ রেলপথের মাধ্যমে তারা মালামাল আনতে ও নিতে পারে সেটা।

এই সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন পেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুর থেকে ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথে পণ্য পরিবহন সুবিধা চালু হবে।

‘আরেকটা জিনিস এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, নেপাল আমাদের সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট ব্যবহার করতে চায়। এটা আলোচনা চলছে, আজকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওইভাবে আর উপস্থাপন করতে পারেনি। যদি এটায় এগ্রি হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সেই প্রস্তাবও এখানে আসবে, আরেকটা অ্যামেন্ডমেন্ট আসবে’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দিচ্ছি, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দিচ্ছি। সবগুলো জায়গায় আমরা ওপেন করতে পারিনি। সুবিধা আমরাও পাব।’

কাস্টমস সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানে সৌদির সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে ‘এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্মেন্ট অব দ্য কিংডম অব সৌদি এরাবিয়া অ্যান্ড দ্য গভর্মেন্ট অব পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অন কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন কাস্টমস ম্যাটারস’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সৌদি আরবের অনেক যোগাযোগ আছে। সেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাস্টমস একটি বড় ফ্যাক্টর। সেজন্য সৌদি আরবের শুল্ক সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, শুল্ক ফাঁকি রোধে সহযোগিতা করা। কীভাবে বাণিজ্য সহজ করা যায়, যদি আমরা কাস্টমস ডিউটিগুলো ইজি করে ফেলতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি করলে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ সুসংহত হবে। দু’দেশে অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখবে এটা।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দুই দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও অন্যান স্বার্থ রক্ষায় এটা কার্যকর হবে। গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিষয়ে দু’দেশ পরস্পরকে সহায্য করতে পারবে। আমাদের দেশের কাস্টমস বিভাগের দক্ষতা বাড়াতেও সৌদি আরব আমাদের সহায়তা করবে।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *