নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই বিএনপির পরাজয় : ওবায়দুল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সা¤প্রদায়িক জঙ্গিবাদী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা ও নেতিবাচক রাজনীতির কারণে সিটি নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই রাজনীতির ধারা তারা যতদিন লালন-পালন করবে ততদিন তারা বিজয়ী হবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ যৌথসভায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদরা উপস্থিত ছিলেন। নেতাদের ২১ ফেব্রæয়ারির মধ্যে নিজ নিজ সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে আওয়ামী লীগের দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন হতাশা থেকে অনেক কথা বলছে। পরাজিত হয়ে তারা যে হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে, সেটা তাদের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। গণমাধ্যমে খবর এসেছে তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নয়। তাহলে কর্মীদের কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে, কেমন করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে।
তিনি বলেন, বিরোধীদল শক্তিশালী হোক, বিরোধীদল বড় সমাবেশ করুক আমরা সেটা চাই। কারণ শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী বিরোধীদল দরকার। কিন্তু নেতিবাচক রাজনীতি তাদের নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ। নেতিবাচক রাজনীতি তাদের আন্দোলন সফল হতে দিচ্ছে না। এটা তাদের নিজেদের ব্যর্থতা, সাংগঠনিক ব্যর্থতা, নেতৃত্বের ব্যর্থতা। ধারাবাহিক ব্যর্থতা তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যতদিন সা¤প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতাকে লালন-পালন করবে, ততদিন তাদের এই নেতিবাচক ধারার কারণে আন্দোলনেও বিজয়ী হবে না, নির্বাচনে বিজয়ী হবে না।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সামগ্রিকভাবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা দরকার। আমাদের দলে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে দলের আগামী ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে আমরা আলোচনা করবো। ভবিষ্যতে অতীতের ভুলত্রটি এড়িয়ে পথ চলতে পারবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আ খ ম জাহাঙ্গীর, ইকবাল হোসেন অপু, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।