September 19, 2024
জাতীয়

নুসরাত হত্যা: ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ফেনীর সোনাগাজী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

থানায় নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়াসহ ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রোববার সাইবার আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেছেন পিবিআই সদর দফতরের সিনিয়র এএসপি রিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তে আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তদন্তে প্রমাণিত সব তথ্য উপাত্তসহ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ মে পিবিআই প্রধান উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে নুসরাতের জবানবন্দি মোবাইলে রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের মধ্যেই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়ার কথাও জানান তিনি। এদিকে, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার সত্যতা মিলেছে আগেই। পুলিশের বিভাগীয় ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেমকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।

একই অভিযোগে ফেনী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মো. ইউসুফকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় এবং এসআই মো. ইকবাল আহাম্মদকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সংযুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে, নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এসপিসহ অভিযুক্ত চার পুলিশ সদস্যকেই অন্যত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *