নুসরাত হত্যা: অধ্যক্ষের ভাগ্নিসহ ২ জন রিমান্ডে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। ফেনীর আদালত পরিদর্শক গোলাম জিলানী জানান, ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহম্মেদ বৃহস্পতিবার পুলিশের আবেদন শুনানি শেষে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দ্ইু আসামি হলেন নুসরাতে সহপাঠী ও অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি ও মাদ্রাসা ছাত্র জোবায়ের আহমেদ। এর আগে আরও সাতজনকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। এ মামলায় পুলিশ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ফেনীর সোনাগাজীর মেয়ে নুসরাত এ বছর আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন। সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী ছিলেন তিনি। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ‘শ্লীলতাহানির’ অভিযোগ এনে গত মার্চে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করে নুসরাতের পরিবার।
সেই মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা গত শনিবার পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ।
অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফেনী সদর হাসাপাতালে এবং পরে শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নুসরাতকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তার শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তা সম্ভব ছিল না। বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন বলেন, ৮০ পারসেন্ট বার্নের যে কনসিকোয়েন্স ভেতরে ফুসফুসের যে ইনহেলিশন ইনহেলিটি হয়, সেটিই তার মৃত্যুর প্রধান কারণ।
নুসরাতের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার পর তারা ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের বিষয়ে জানাতে পারবেন।