নুসরাত হত্যায় ‘অংশ নেওয়া’ মণিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পিবিআই
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ‘সরাসরি অংশ নেওয়া’ সহপাঠী কামরুন নাহার মণিকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পিবিআই কর্মকর্তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানান, শুক্রবার মনিকে নিয়ে পিবিআই কর্মকর্তারা মাদ্রাসা ভবনের ছাদ ও বোরকার দোকান পরিদর্শন করেন। হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মনি বুধবার থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবালের নেতৃত্বে একটি দল মনিকে নিয়ে সোনাগাজী পৌরশহরের মানিক মিয়া প্লাজায় একটি বোরকার দোকানে যায়। সেখানে তারা দোকানমালিকের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তারা সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেখানে নুসরাতকে কিভাবে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে তার বিবরণ দেন কামরুন নাহার মনি। মনিকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া পুরুষদের ব্যবহৃত বোরকাগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
নুসরাত ছিলেন ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। গত ৬ এপ্রিল আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের পরিবারের দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষর লোকজন তার গায় আগুন দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনায় মামলায় অধ্যক্ষ ও কমিটির সদস্যসহ আটজনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ মামলায় এজহারভুক্ত আটজনসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে চারজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর ১৩ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছেন।
এছাড়া শুক্রবার সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পিবিআই। তবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না তা তারা এখনও নিশ্চিত করেনি।