নুসরাত হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে রিজভীর সংশয়
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নুসরাত হত্যায় কতিপয় খুনিদের ধরা হলেও আসল খুনিদের ধরা হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ জনমনে। নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত তনু ও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার মতই কোনো অন্ধকারে অতলে তলিয়ে যাবে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার দিন মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচ দিন চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নুসরাত।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের খুনিদের বাঁচাতে নানাভাবে অপতৎপরতা চলছে, যে খবরগুলো ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগুন সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতায় এগুলো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাকে বলতে চাই, এই হত্যা মামলার আসামি ও তাদের দোসরদের পক্ষে একটি গ্র“প মাঠে নেমেছে। এই গ্র“পটি কারা আপনি সব জানেন। সবসময় কাজ হচ্ছে- উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো। এটা সব সময় করে এসেছেন। ফেনীতে এমনিতেই বিএনপির নেতাকর্মীরা থাকতেই পারে না, ঢাকা বা অন্যত্র অবস্থান করছেন। কিন্তু জনদৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করতে, মানুষের চোখকে অন্যদিকে ফেরানোর জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সত্যকে আপনি আড়াল করতে পারেননি।
তিনি বলেন, সোনাগাজীর সেই মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন শামীম, যুবলীগ নেতা নুরউদ্দিন, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহমেদ, আব্দুল কাদের ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা, সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকসুদুল হক ও প্রভাষক আবছার উদ্দিনের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে ওই গ্র“পটি। ঘটনায় জড়িত সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী। এর কোনো উত্তর আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? আপনি তো মুখস্ত কবিতার মতো বলে যান অনর্গল মিথ্যা কথা।
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোনেন, আবদুল আউয়াল খান, কাজী বাশার, ইউনুস মৃধা, গোলাম মূর্তজা তুলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।