নুসরাত হত্যাকাণ্ডে আর্থিক লেনদেন অনুসন্ধানে সিআইডি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় আর্থিক লেনদেন ছিল কি না তা যাচাই করা হবে বলে সিআইডি জানিয়েছে। জেলা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী বিশেষ সুপার শারমিন জাহান শুক্রবার বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ডে মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটেছে কি না তা অনুসন্ধানে কাজ করবে সিআইডি। হত্যাকাণ্ডে অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সিআইডি এই অর্থের উৎস কিংবা অর্থের জোগানদাতা থাকলে তার খোঁজ করবে।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত ছিলেন আলিম পরীক্ষার্থী। গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের পরিবারের দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষর লোকজন তার গায় আগুন দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় মামলায় অধ্যক্ষ ও কমিটির সদস্যসহ আটজনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ মামলায় এজহারভুক্ত আটজনসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে চারজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর ১৩ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছেন।
এছাড়া শুক্রবার সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে আটক করেছে পিবিআই। তবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না তা তারা এখনও নিশ্চিত করেনি।