নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের মামলা ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের মামলা বিচারিক হাকিমের আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হস্তান্তর করার আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ফেনীর বিচারিক হাকিম জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, মামলাটি হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি বিচারের জন্য বিচারিক হাকিম আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার এ মামলায় ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম অভিযোগপত্র জমা দেন ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতে। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে নুসরাতের অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে।
আইনজীবী শাহজাহান বলেন, মামলাটি ট্রাইবুনালে হস্তান্তরের দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করবে। সেটা বৃহস্পতিবার বিকালেও হতে পারে। এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার আলীম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির মা একই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় যৌন হয়রানির মামলা করেন। তারপর ৬ এপ্রিল তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, যৌন হয়রানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে অধ্যক্ষের হুকুমে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা মামলায় অধ্যক্ষসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। পরে অধ্যক্ষর পদ থেকে সিরাজ-উদ-দৌলাকে বহিষ্কার করা হয়।
ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, যৌন হয়রানির মামলায় ২৭১ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার সময় মোবাইল ফোনে ধারণকৃত অডিও-ভিডিও রেকর্ডের দুটি কপি। এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসকসহ ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে বলে তিনি জানান।