নিয়ম মানুন, যানজট কমবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
সবাই যদি নিয়ম মানে, তবে সড়কে যানজট অনেকটাই কমে- একথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ঢাকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মঙ্গলবার ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ’ উদ্বোধন করে সবাইকে নিয়ম মানার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি এই ১৫ দিন দেশবাসীকে ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার পদ্ধতি জানানোর চেষ্টা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুপুরে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে এক অনুষ্ঠানে বেলুন উড়িয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ উদ্বোধন করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের চেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, তারপরও সম্মানিত ঢাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে ট্রাফিক পক্ষ পালন করতে যাচ্ছি। বুকলেট ও প্রচারের মাধ্যমে নগরবাসীর কী কর্তব্য, তা জানাতে চেষ্টা করছি। সবাই যদি ট্রাফিক নিয়ম-কানুন মেনে। তাহলে দুর্বিষহ যানজট কিন্তু অনেকটাই কমে যাবে।
পথচারীদের ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে সচেতন করতে চাই যে আপানাদের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। ফুটপাত ছেড়ে হুটহাট করে সড়কে না নামার আহ্বানও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গাড়ি, মোটরসাইকেল চালানোর সময় এবং রাস্তা পার হওয়ার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করতেও বলেন তিনি।
দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ থেকে ১৪ অগাস্ট ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করা হয়েছিল। তখন কিছু পদক্ষেপে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও পরে আবার ঢাকার সড়কগুলো আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এবারের অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেন, ওই সময়ের পর পরিস্থিতির ‘দৃশ্যমান উন্নতি’ হয়েছে। এখন আর হেলমেট ছাড়া কাউকে মোটর সাইকেল চালাতে দেখা যায় না।
ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরে ১৩০টি বাস স্টপেজ চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান কমিশনার। তিনি বলেন, স্টপেজগুলো আরও সুন্দরভাবে তৈরি করার জন্য সিটি করপোরেশনের থেকে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন সড়কে ৫৭ পয়েন্টে ‘চেকপোস্ট’ বসানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি ট্রাফিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং জনগণকে সচেতন করা, দায়িত্বশীল করা। ঢাকা শহরে যানজট বাড়ার জন্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে দায়ী করেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সড়কের যে গতি কমেছে, এটাকে সহনশীল রেখে কীভাবে মানুষকে কর্মস্থলে আনা যায় এবং তারা বাড়িতে ফিরে যেতে পারে।
চেষ্টা চালালেও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যানজট কমেনি বলে স্বীকার করেন আছাদুজ্জামান মিয়া। কারণগুলো চিহ্নিত করে তিনি বলেন, গাড়ির আধিক্য ও আইন না মানার অপসংস্কৃতি। বড় সমস্যা আইন না অভ্যাস। যত্রতত্র গাড়ি রাখা, পালা দিয়ে গাড়ি চালানো, এগুলো পরিহার করা দরকার।