নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারই পরমাণু আলোচনার প্রধান লক্ষ্য: ইরান
তেহরানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবারের পরমাণু আলোচনার প্রধান লক্ষ্য ও চুক্তির বাইরে কোনো বিষয়ই মানা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ভিয়েনা আলোচনায় কোনো পক্ষ যদি এমন কোনো অনুরোধ জানায় যা পরমাণু সমঝোতায় নেই তাহলে ইরান তা মেনে নেবে না বলেও জানান তিনি।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) ভিয়েনায় ইরান ও পাঁচ জাতিগোষ্ঠী নতুন করে পরমাণু সমঝোতা পুনর্বহালের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে। পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে অংশ নিচ্ছে চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে তারা এখন আর কোনো পক্ষ নয়। সে কারণে ওয়াশিংটন সরাসরি ভিয়েনা আলোচনায় অংশ নিতে পারছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে পারে, ভিয়েনা আলোচনায় সেটাই হবে অন্যতম প্রধান এজেন্ডা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান তার এক নিবন্ধে বলেন, এ পর্যন্ত ছয় দফা আলোচনা হলেও যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তি দাবি ও অবাস্তব অবস্থানের কারণে তা সফল হতে পারেনি।
পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুক্তরাষ্ট্রের এই বেআইনি আচরণের ব্যাপারে একমত যে, সামগ্রিকভাবে এটি আন্তর্জাতিক আইনের অবমাননা।
বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় জো বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানবিরোধী নীতি অনুসরণ করবেন না বলে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও তিনি পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে পারেননি।
২০১৫ সালে ইরান ও ছয় দেশের মধ্যে পরমাণু চুক্তি হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরিয়ে নেন। তবে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে পরমাণু চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
গত এপ্রিল থেকে ইরানসহ ছয় দেশের মধ্যে পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষে আলোচনা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ নভেম্বর ইরানের নতুন প্রশাসনের অধীনে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইরানের অবস্থানের প্রতি রাশিয়া ও চীন সমর্থন দিচ্ছে।