নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই যুক্তরাজ্যে ৫০ লাখ টিকা পাঠাতে চায় সিরাম
করোনাভাইরাসের নিয়ন্ত্রণহীন সংক্রমণের মুখে গত মার্চ মাসের শেষের দিকে বিদেশে টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। ফলে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশই আগেভাগে দাম দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ে টিকা পাচ্ছে না। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সিরাম কর্তৃপক্ষ বারবারই সরকারি বিধিনিষেধের কথা বলেছে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সম্প্রতি কোভিশিল্ডের ৫০ লাখ ডোজ যুক্তরাজ্যে পাঠাতে চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদনও করেছিল তারা। অবশ্য তাদের এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি মোদি সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে কিছুদিন আগে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী সবাইকে টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। কিন্তু সময়মতো এত টিকার জোগান ও এর দাম নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে।
এই বিতর্কের মধ্যেই ভারত ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন কোভিশিল্ডের উৎপাদক সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনেওয়ালা। তিনি এখনো সেখানেই রয়েছেন।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে ভারত সরকারের কাছে যুক্তরাজ্যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর আবেদন করেছিল সিরাম কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের ওই আবেদনে সোজা ‘না’ বলে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক চাপ এবং সিরামের সঙ্গে কয়েক দফা সমঝোতার পরেও যুক্তরাজ্যে টিকা রফতানির অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটিতে স্থানীয় পর্যায়ে টিকার সংকট এবং টিকাপ্রাপ্তিতে ভারতীয় নাগরিকদের অগ্রাধিকার নীতির ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বলা হচ্ছে, ভারতে এমনিতেই টিকার সংকট চলছে। কেন্দ্রের কাছে টিকার জন্য আবেদন জানিয়েছে রাজ্যগুলো। কিন্তু এখনো পর্যাপ্ত টিকা পায়নি তারা। এমন অবস্থায় সিরাম কীভাবে যুক্তরাজ্যে টিকা পাঠানোর আবেদন করল, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, প্রবল বিতর্কের মুখে সম্প্রতি ভারতের রাজ্যগুলোর জন্য কোভিশিল্ডের নির্ধারিত দাম ৪০০ থেকে কমিয়ে ৩০০ রুপি করা হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য এর দাম ৬০০ রুপিই রাখা হয়। এরপর থেকেই নাকি নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছিল পুনেওয়ালাকে। এর জেরেই দেশ ছেড়েছেন তিনি।