‘নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার নেই বিএনপির’
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারির নির্বাচনের পর ভোট নিয়ে প্রশ্ন করার নৈতিক অধিকার বিএনপি হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কাদের। তিনি বলেন, “আজকে ১৫ ফেব্র“য়ারি। ওই ১৫ ফেব্র“য়ারি মার্কা নির্বাচনের মতো প্রহসনের নির্বাচন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনও হয়নি। “১৫ ফেব্র“য়ারির নির্বাচন নিয়ে যারা কলঙ্কিত, তাদের মুখে অন্য কোনো নির্বাচনের শুচিতা নিয়ে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করা উচিৎ না।”
বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় নির্বাচনের উত্তাপ হারাচ্ছে এমন প্রশ্নে সাংবাদিকদের কাদের বলেন, “জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় নির্বাচন এক না। স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়গুলো স্থানীয় সরকারের বিষয়। সে কারণে এটার লক্ষ্যও ভিন্ন, কাজের পরিধিটাও ভিন্ন।
“স্থানীয় নির্বাচনের একটা উত্তাপ আছে, থাকে। কারণ স্থানীয় নির্বাচনে অনান্য দলের প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকে। কাজেই এখানে ইলেকশন একেবারে উত্তাপহীন ও প্রাণহীন পরিবেশে হবে- এমনটা বলা যায় না।”
‘দু-চারটা জায়গায়’ একক প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় জয়ী হওয়া নতুন কিছু নয় উলেখ করে তিনি বলেন, “বেশিরভাগ আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে এবং জমবে। সবেমাত্র মনোনয়ন জমা দিয়েছে, এরপর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরেই আসলে ইলেকশনের উত্তাপটা বোঝা যাবে।”
জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর স্থানীয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন কাদের।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, বিএনপি দলীয়ভাবে বা দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেকে অনেক জায়গায় স্থানীয়ভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
“সেই হিসেবে তারা দলীয়ভাবে না করলেও তাদের উপস্থিতি এখানে থাকছে।”
অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি প্রার্থীদের বিশেষ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে করা ৭৪টি মামলার প্রসঙ্গে কাদের বলেন, “যে কোনো সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি মামলা করতে পারে। তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে।
“নির্বাচনে পরাজিতরা ট্রাইব্যুনালের সম্মুখীন হয়, ট্রাইব্যুনালে তাদের অভিযোগ পেশ করে, এটা নতুন কিছু নয়। এটা তাদের অধিকারও আছে।”
মামলা নিয়ে আওয়ামী লীগের ‘করার কিছু নেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যেহেতু নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনে যারা জয় লাভ করেছে, তাদের গেজেট প্রকাশ করেছে এবং বিজয়ী বলে ঘোষণা করেছে। এখন ট্রাইব্যুনালে যদি কেউ মামলা করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর, এই বিষয়টার দায়টা বর্তায় নির্বাচন কমিশনের। “তারাই এখন এই বিষয়টা নিয়ে আদালতে গিয়ে মোকাবেলা করবেন, লিগ্যাল ব্যাটেল তারা ফেইস করবে, এটাই নিয়ম।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার ও কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন।