নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় ডুমুরিয়া ভোকেশনাল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মাণ
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
কাজ শুরু হওয়ার পর কেটে গেছে এক বছর ৫ মাস ১৫ দিন। কার্যাদেশ অনুয়ায়ি আর মাত্র ২৫ দিন বাকি রয়েছে। কিন্তু নকশা অনুযায়ি শুধুমাত্র অবকাঠামো দাড় করানো হয়েছে। এ কয়দিনে আর কতটুকুই বা এগুবে। তাই ধরে নেয়া যায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরে স্থাপিতব্য ডুমুরিয়া ভোকেশনাল টেশনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ।
বর্তমান সরকারের সময়ে ২০১৮ সালে ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেশনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ (টিএসসি) স্থাপন প্রকল্পের আওতায় এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট প্রকল্পটি নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স প্রা: লিমিটেড ও আতাউর রহমান খান লিমিটেড (জেভি) কে কার্যাদেশ দেয়া হয়। সময় দেয়া হয় ৫৪০ দিন। ইতোমধ্যে কার্যাদেশ দেয়ার পর কেটে গেছে ৫১০ দিন। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হাতে রয়েছে মাত্র ৩০ দিন। কিন্তু ৫ তলা ভীত বিশিষ্ট ৪ তলা প্রশাসণিক ভবন, ওর্য়াকশপ, এক তলা সার্ভিস এরিয়া পয়:নিষ্কাশন ও বৈদ্যুতিকরণ, ভূমি উন্নয়ন, আভ্যন্তরীন রাস্তা, সীমানা প্রাচীর গেট ও গভীর নলকূপ স্থাপন কাজ। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১৫ কোটি, ৪৭ লাখ, ৪৬ হাজার ৬২৮ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
নির্মাণাধীন সংস্থা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। কিন্তু বর্তমানে কাজের যে গতি তাতে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এর নির্মাণ কাজ শেষ হতে অনেক সময় লেগে যাবে। সময় বেশি লাগলে ব্যয়ও বাড়বে। নির্মাণ কাজ শেষ হতে যত সময় লাগবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে ততই দেরি হবে। উন্নয়নবঞ্চিত একসময়ের ডুমুরিয়া উপজেলা বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে চলেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সাবেক মন্ত্রী শিক্ষাবিদ নারায়ন চন্দ্র চন্দের ঐকান্তিক চেষ্টায় ইতোমধ্যে সরকারী হয়েছে ডুমুরিয়ার শাহপুর মধুগ্রাম কলেজ। শাহপুরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সরকারী লাইভস্টক ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট।
খুলনা মহানগরীর কোল ঘেষে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বুল-কাফ রিয়ারিং ইউনিট কাম মিনিল্যাব নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ। সরকারিভাবে টেকনিক্যাল এ প্রতিষ্ঠানটিতে উপজেলাসহ সারাদেশের হাজার হাজার ছেলে- মেয়ে হাতে-কলমে বাস্তবসম্মত উন্নত শিক্ষা লাভ করে দেশের বেকারত্ব দুরীকরণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। কাজ শেষ হতে দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নীচু জমি হওয়ায় সেটি উঢ়ুঁ করতে সময় লেগেছে। তাছাড়া মূল কাজ শুরু করতেও দেরি হওয়ায় সময় বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। যত দ্রæত সম্ভব প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তারা।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার উন্নয়নের প্রতি অনেক আন্তরিক। তাঁর আন্তরিকতায় খুলনায় ব্যাপক উন্নযন কাজ হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী করা হয়েছে। ডুমুরিয়া-ফুলতলায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী করা হয়েছে। নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে খুব সহজে কারিগরি শিক্ষা লাভ করতে পারবে। এতে একদিকে যেমন দক্ষ জনবল গড়ে উঠবে তেমনি বেকারত্বেও অভিশাপ দূর হবে।