নিজের জমিতে উৎপাদিত ধান মসজিদ-মন্দিরে বিলিয়ে দিলেন যুবলীগ নেতা পলাশ
দ. প্রতিবেদক
‘সবার সুখে হাসবো আমি/কাঁদবো সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দেব/অনাহারী মুখে’ পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এর বিখ্যাত এ কবিতার পঙক্তিগুলো আজও সাধারণ মানুষ হৃদয়ে গাঁথা। এবার নিজের ৩০ বিঘা জমিতে উৎপাদিত ধান সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করে তেমনি এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ।
তিনি তার তেরখাদার শ্রীপুর কালিনগর বিল বাশুয়াখালি’র ৩০ বিঘা জমির ধান নিম্ন আয়ের মানুষ, মসজিদ, মন্দির ও মাদ্রাসায় বিতরণ করবেন। যার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার শ্রীপুর কালিনগর বিল বাশুয়াখালি’ ২৮টি দরিদ্র পরিবার ও ৩টি মসজিদে এক মন করে ধান বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে রূপসা, তেরখাদার বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির ও মাদ্রাসায় সম্পূর্ণ তিন বছর এই ধান বিলি করবেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহেল বিশ্বাস, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রাসেল, রেদওয়ান মারুফ, জহির আব্বাস প্রমূখ।
এই কর্মসূচি উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যে এক দারুণ উপলব্ধির সৃষ্টি হয়। রাজনীতিবিদরা সমাজের বিবেক হিসাবে মানুষের পাশে থাকবেন এমন প্রত্যাশা সকলের।
জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড – ১৯) কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে প্রথম থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ, সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ। এছাড়া করোনায় মৃতদের পরিবার, আক্রান্তদের পরিবার ও লকডাউনকৃত পরিবারগুলোকে কয়েক ধাপে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন তিনি। এবার নিজের জমিতে উৎপাদিত ধান সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নগর যুবলীগের কর্ণধার পলাশ।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা পলাশ দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে বলেন, তেরখাদার বাশুখালি কালিনগর বিলে আমার ৩০ বিঘা জমি আছে। সেখান থেকে আমি ১০০ মনের মত ধান পাই। এই ধান আমি ঐ এলাকার দরিদ্র মানুষ, মন্দির ও মসজিদ এবং মাদ্রাসায় বিতরণ করবো। করোনা যুদ্ধের এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ খুলনার অভিভাবক শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সোহেল এর নির্দেশনায় আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। আমরা ভবিষ্যতেও এভাবে মানুষের পাশে থাকব। সম্মিলিতভাবে এই যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করবো।