নিজেদের স্বীকৃতির বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক করছে কসোভো
এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে কসোভো। শুক্রবার এক বিবৃতিতে কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। খবর আনাদোলু নিউজ এজেন্সির।
কসোভোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভার্চুয়াল একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতি সম্পর্ক স্থাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলিজা হারাদিনাজ-স্তুবলা এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আশকেনাজি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘কসোভো প্রজাতন্ত্রের জন্য ইসরায়েলের স্বীকৃতি পাওয়া অন্যতম একটি অর্জন। আমাদের সব সময়কার বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।’ ওই বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, দু’দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও স্থায়ী হবে। এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শাসনামলে থাকাকালীন ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সার্বিয়া এবং কসোভোর নেতাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাত করেছিলেন। সে সময় তিনি এক ঘোষণায় জানান যে, এই দেশ দু’টি নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
সার্বিয়া তেল আবিব থেকে তাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণার দেয়ার পর পরই কসোভো ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে রাজি হয়। সেই লক্ষ্যেই এখন আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে।
এর আগে আরব দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান ফিলিস্তিনিদের দাবি পূরণ হওয়ার আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এর ধারাবাহিকতায় আরব বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে মরক্কো। এছাড়া আরও বেশি কিছু দেশও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী।
মূলত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্ততায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের অধীনে এই প্রক্রিয়া কেমন হবে তাই এখন দেখার অপেক্ষা।