January 19, 2025
আন্তর্জাতিক

নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে

ইন্দোনেশিয়ায় নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নৌবাহিনীর প্রধান ইয়ুডো মারগোনো। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। খবর সিএনএনের।

সমুদ্রে ছয়টি ধ্বংসাবশেষের টুকরা পাওয়া গেছে যা বুধবার বালি সাগরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সাবমেরিনটির বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এগুলো সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।

ইয়ুডো জানান, এসব ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রয়েছে এক বোতল গ্রিজ, একটি টর্পেডো লাঞ্চারের অংশ, একটি ধাতব টিউবের অংশ, জায়নামাজ ও জ্বালানি। এগুলো সমুদ্রে একটি জায়গায় ভাসতে দেখা যায় যেখানে পানির গভীরতা ৮৫০ মিটার।

সাবমেরিনটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন ছিল তাতে আরোহীদের শনিবার সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার কথা। এই সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে না পারায় ৫৩ জন আরোহীর সকলেই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইয়ুডো জানান, কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটিতে করে আগে যারা মিশনে গিয়েছেন তারা নিশ্চিত করেছেন এই ধ্বংসাবশেষগুলো ওই সাবমেরিনেরই। সাবমেরিনের পেরিস্কোপে আরোহীরা যে গ্রিজ ব্যবহার করতেন তার সঙ্গে খুঁজে পাওয়া বোতলের গ্রিজ মিলে গেছে।

ইয়ুডো বলেন, সাবমেরিনে বিস্ফোরণ হয়েছে এমনটা মনে করা হচ্ছে না। তবে পানির প্রচণ্ড চাপে হয়তো এতে কোনো ফাটল তৈরি হয়েছে আর সেখান থেকেই এই ধ্বংসাবশেষগুলো বেরিয়ে পড়েছে।

বুধবার সকালে টর্পেডো মহড়ার অনুমতি চাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ করে সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়ে যায়।

এরপর সাগরে ব্যাপক অনুসন্ধান তৎপরতা শুরু হয়। কমপক্ষে ৬টি যুদ্ধ জাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও ৪০০ উদ্ধারকর্মী এ অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছে। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সাহায্যের জন্য জাহাজ পাঠিয়েছে।

উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির পি-৮ পসাইডন সাবমেরিন অনুসন্ধানী বিমান দিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজ করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া শব্দতরঙ্গ ব্যবহারে সক্ষম জাহাজ ও একটি হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারে সহায়তা করছে।

সাবমেরিনটি জার্মানির তৈরি। ইন্দোনেশিয়ায় ব্যবহৃত প্রথম পাঁচটি সাবমেরিনের একটি হলো এটি। ৭০ এর দশকের শেষের দিকে এটি তৈরি করা হয়েছিল।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *