নিখোঁজ সেই ৪ শিক্ষার্থী কারাগারে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠা সেই চার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার রাজধানীর কাফরুল থানায় নাশকতার এক মামলায় এসআই মো. জিলুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। এর আগে ওই চার শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা গত ১ জানুয়ারি সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, ফার্মগেট এলাকা থেকে নির্বাচনের আগের দিন সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয়ে তাদের তুলে নেওয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ওই চার শিক্ষার্থীকে কাফরুল থানায় হস্তান্তর করে।
অভিভাবকের তরফে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২৯ ডিসেম্বর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট থেকে কেনাকাটা সেরে চার শিক্ষার্থী শাহবাগ মোড়ে এসে বাসার উদ্দেশে বাসে ওঠেন। ফার্মগেটে তাদের বাসটি থামিয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে আটক করে নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা হলেন— এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মো. বোরহান উদ্দিন, মানারাত ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রেজাউল খালেক ও ঢাকা ইউনানি আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ডা. সৈয়দ মোমিনুল হাসান। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. বাকী বিল্লাহ আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, আসামিরা বিএনপি জামায়াতের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তারা বোমা ককটেল তৈরি করে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতায় সহযোগিতা করে আসছিল। একইভাবে আসামিরা গত ১৭ ডিসেম্বর কাফরুল থানাধীন মিরপুরের ১৩নং সেকশনস্থ ১/৩ পূর্ব বাইশটেকী, হাজী জব্বার সাহেবের বাসার সামনে এজহারনামীয় আসামিদের সঙ্গে তাঁতী লীগের নির্বাচনী অফিস কাফরুলে ভাঙচুর করে মামলার বাদীসহ ইউসুফ হাওলাদার, রফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেট্রলবোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। তথ্যের সঠিকতা পাওয়া না গেলে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাই তাদের কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম কবীরুজ্জামান ও কে এম শরীফুল ইসলাম আসামিদের জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন।