নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: পুলিশের মামলায় ১ নম্বর আসামি বিএনপি নেতা
নিউমার্কেট ও আশপাশের মার্কেটগুলোতে গত সোম ও মঙ্গলবারে (১৮ ও ১৯ এপ্রিল) সংঘর্ষের ঘটনায় নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে আছে—সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জখম ও ভাঙচুর। পুলিশের দায়ের করা ওই মামলায় মকবুল ছাড়াও আরও ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া, নিউমার্কেটের ২০০-৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের ৬০০-৭০০ ছাত্রকে মামলার আসামি করা হয়েছে বলে নিউমার্কেট অঞ্চলের এডিসি শাহেন শাহ্ মাহমুদ নিশ্চিত করেছেন। গোয়েন্দা তথ্যের পাশাপাশি সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এজাহারে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, নিউমার্কেটের চার নম্বর গেট সংলগ্ন ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল নামে যে দুটি ফাস্ট ফুড দোকানের কর্মচারীদের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়, সেই দোকান দুটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ নিয়েছিলেন মকবুল হোসেন।
মামলার ১ নম্বর আসামি মকবুল হোসেন নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি পরিচয় দিয়ে জানিয়েছেন, নব্বইয়ের দশকে সিটি করপোরেশন থেকে দোকান দুটি ভাড়া নেন তিনি। বর্তমানে ওয়েলকাম ফাস্টফুড চালান তার ছোট ভাই এবং ক্যাপিটাল ফাস্টফুড চালান চাচাতো ভাই শহীদুল ইসলাম। তাকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে।
মূলত কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও রাজনৈতিকভাবে তাকে জড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মকবুল। তার দাবি, গত চার মাস তিনি ওই এলাকাতেই যাননি। তাই, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ বা ভাঙচুরের অভিযোগ অবান্তর।
এই মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন—আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, মিজান ব্যাপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ১২টায় নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ায়। পরদিন মঙ্গলবারও দিনভর সংঘর্ষ চলে। দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত নাহিদ (১৮) নামে এক তরুণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা যান। আহত আরেকজন বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংঘর্ষে আহত একজন দোকানী মোরসালিন (২৬)।