‘না মারলে চুরির কথা স্বীকার করত না’
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নোয়াখালীতে মাদ্সার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে হাত-পা বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার দারুল উলূম আল ইসলামিয়া চরমটুয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেম ও আবু বক্করের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মারধরের কথা স্বীকার করে আরেক শিক্ষক সহিদ উলা বলেছেন, না মারলে চুরির কথা স্বীকার করত না। মারধরে আহত আরমান হোসেনকে (২০) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের চিকিৎসক হোসেন মো. আরাফাত বলেন, আরমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আরমান সদর উপজেলার পূর্বচরমটুয়া ইউনিয়নের চরকাউনিয়া গ্রামের আজাদ হোসেনের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
আরমানের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার হুজুররা আমাকে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে লাঠি নিয়ে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা আমাকে লথি মারেন। আমি চুরি করিনি বলার পরও এভাবে মারেন তারা আমাকে।
মাদ্সার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক দিন আগে এক ছাত্রের একটি মোবাইল ফোন চুরি হলে আরমান ও রিয়াজ হোসেন নামে আরেক ছাত্রকে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করা হয়। সন্ধ্যার দিকে অভিবাবকদেরকে খবর দিয়ে এনে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন শিক্ষকরা।
আহত আরমানের বাবা আজাদ হোসেন বলেন, ছেলেকে বাড়িতে নেওয়ার পর তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে রাতেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি।
সুধারাম থানায় ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আরমানের বাবা আজাদ হোসেন থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে দুই শিক্ষক পালিয়ে গেছেন।