নাহিয়ান-লেখক আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেবেন সোমবার
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয় বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে আমরা সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করবো। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।
তিনি বলেন, আমরা ১৩ মাস সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনা একটা দায়িত্ব দিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা মনে করি যত চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন তা মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগকে দেশরত্নের নির্দেশনা অনুসরণ করে এগিয়ে নেবো।
ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি পাওয়া শোভন-রাব্বানীর বিচার চান কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে জয় বলেন, আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করবো। অন্য বিষয়গুলো আমাদের নীতিনির্ধারণী অভিভাবক ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা রয়েছে। তাদের সঙ্গে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।
ছাত্রলীগ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। এটা চালাতে আমাদের অনেক ধরনের পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা যেহেতু দায়িত্ব পেয়েছি দুজনে বসে একটি সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করবো, ছক আঁকবো। সে অনুযায়ী, আমরা যে দশ মাস সময় পাচ্ছি , এই সময়ের মধ্যে আমাদের যেসব কমিটিগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং যে কমিটি ২ বছরের অধিক চলে গেছে সেই কমিটি গুলো বিলুপ্ত করে আমরা সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে যুগোপযোগী করে এগিয়ে যাবো। দেশরত্নের হাতকে শক্তিশালী করবো।
সংগঠনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে? সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সভাপতি জয় বলেন, দেশরত্নের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য যেকোনো ধরনের পজিটিভ পদক্ষেপ ছাত্রলীগ নিবে। এজন্য আমরা সবসময় কাজ করে যাবো। আশা রাখি অতীতে যদি সংগঠনের কোনো ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে তাহলে তা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবো। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনো অন্যায়, চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেয় না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো।
নিজেদের বেলায় দুর্নীতি হবে কি-না এমন প্রশ্নে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমি হলেও দায়িত্ব পালন করেছি। চেষ্টা করি আমাদের গায়ে কোনো কালিমা যেন না লাগে। আমরা দেশরত্নের আস্থার জায়গাটা অবশ্যই রাখবো, সে অনুযায়ী কাজ করবো।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে যে সংকট বিরাজমান তা মোকাবেলা করার জন্যই আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। আমরা দায়িত্বটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি। দশ মাসের মধ্যে আমাদের সবগুলো কমিটি তৈরি করে সম্মেলনের মাধ্যমে সুন্দর ছাত্রলীগ উপহার দিতে হবে। আমরা সব শাখার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে চাই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের যদি কোনো ধরনের সমস্যা থাকে, তাহলে আমাদের দরজা আপনাদের জন্য খোলা থাকবে। কোনো ধরনের লবিং-তদবির দরকার নেই, অভিযোগ বলুন, আমরা সুষ্ঠু সমাধান করবো। আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করলে সবাই সঠিক মূল্যায়ন পাবে।