নারায়ণগঞ্জ থেকে পিরোজপুর আসা ১৮ জন কোয়ারেন্টিনে
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় অফিস-আদালত বন্ধ রেখে ঘরে থাকার মেয়াদ বাড়ছে আরও ১১ দিন।
সরকারের ভাষায় এই ‘ছুটি’ আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
শুক্রবার তিনি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পেয়েছি, আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হচ্ছে। এই ছুটিটা সাধারণ ছুটি হবে না, এটি হবে শুধু ছুটি।”
এর ব্যাখ্যায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সারা দেশে ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য জরুরি সেবা দেওয়ার বিষয় রয়েছে। এজন্য সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে থাকতে হবে। ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটিটা কীভাবে দেওয়া হবে আমরা তার ড্রাফট করছি, ছুটির আদেশে বিস্তারিত বলা থাকবে।”
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ রেখে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
সেই সঙ্গে সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় বিশ্বের আরও অনেক দেশের মত বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে, যাকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বর্ণনা করা হচ্ছে ‘লকডাউন’ হিসেবে।
সেই ‘ছুটির’ মেয়াদ এরপর বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। পরে তৃতীয়দফায় সেই ছুটি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এর আগে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণার পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ছুটি আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রোজার ছুটির সঙ্গে এই ছুটি মিলিয়ে ঈদের পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তাভাবনা করছে সরকার।