নাব্য সংকট আর তীব্র স্রোতে শিমুলিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত
পদ্মায় নাব্য সংকট আর স্রোতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, ড্রেজিং চ্যানেলে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় ফেরি ঠেকে যাচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলয়া আসার পথে চ্যানেলটির পদ্মা সেতু ২৫ ও ২৬ নম্বর পিয়ারের নিচে ডুবোচরে আটকে যায় ঠেলা ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর।
পরে পৌনে এক ঘণ্টার চেষ্টার পর ফেরিটি উদ্ধার হয় জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবল স্রোতে পাশের একটি চর ভেঙে সেখানে পলি জমছে। এসব কারণে ফেরিগুলো যথাসময় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না।
তিনি বলেন, বহরের ১৭টির মধ্যে সাতটি ফেরিতে চলছে পারাপার। ফেরিগুলো ঠিকমত চলতে না পারায় দুই পারে ছয় শতাধিক যান পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। রোববার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির লাইন দীর্ঘ হয়।
এছাড়া পদ্মার ভাঙনে ক্ষতবিক্ষত শিমুলিয়ার ঘাটগুলো রক্ষায় এখনও কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, বিলীন হয়ে যাওয়া ৩ নম্বর ঘাট নতুন করে চালু করলেও ঝুঁকিতে রয়েছে। ৪ নম্বর ঘাট নতুন করে স্থাপনের চেষ্টা চলছে। এদিকে উত্তাল পদ্মায় ঝুঁকির মধ্যে গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়েই চলছে ৮৭টি লঞ্চ ও সাড়ে ৪০০ স্পিডবোট। এখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই।
পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে শিমুলিয়া ঘাটের টার্মিনাল ছাপিয়ে এখন বহু ট্রাক সড়কে লাইন দিয়েছে। লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। ট্রাকগুলো ফেরির অভাবে দিনের পর দিন অপেক্ষা করছে ঘাটে। ট্রাক নিয়ে চার দিন ধরে বসে থাকা ট্রাকের সংখ্যাও অনেক। ট্রাকচালকরা তাই ক্ষুব্ধ।
আর লঞ্চ ও স্পিডবোট যাত্রীরা বলছেন, বাধ্য হয়েই তারা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন গাদাগাদি করে।