নাব্যতা রক্ষায় খনন করা হবে ১৭৮টি নদী: নৌ-প্রতিমন্ত্রী
দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষায় ১৭৮টি নদী খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার সংসদে ভোলা-৩ আসনের নুরুনবী চৌধুরীর প্রশ্নে তিনি বলেন, “দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। এর আওতায় ১৭৮টি নদী খনন করে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ নাব্য করা হবে।”
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
যশোর-৩ আসরের কাজী নাবিল আহমেদের প্রশ্নে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ নৌপথের দৈর্ঘ্য বর্ষাকালে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার। শুষ্ক মৌসুমে তা ছয় হাজার কিলোমিটারে কমে আসে।
নৌপথে নিরাপত্তায় সরকারের গ্রহণ করা নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনে নিরাপত্তা বিধানে দুর্ঘটনা বহুলাংশে কমে গেছে। নৌযানগুলো বাধাহীনভাবে নিরাপত্তার সাথে চলাচল করতে পারছে।”
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে দুই দেশের নৌ-প্রটোকলভুক্ত ৪৭০ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে। এর আওতায় কালনি ও কুশিয়ারা নদীর আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ নৌপথের ২৮৫ কিলোমিটার এবং যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ-দৈখাওয়া নৌপথের ১৮৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।”
ঢাকা-২০ আসনের বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য সরকার বিভিন্ন ধরনের ৩৯টি নৌযান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় যাতায়াত ব্যবস্থা দ্রুত ও সহজতর করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হোভার ক্র্যাফট সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলে সমুদ্রগামী ছয়টি বড় জাহাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ক্রুড অয়েল মাদার ট্যাঙ্কার, দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার ও কয়লা পরিবহন উপযোগী দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার। এছাড়াও সমুদ্রগামী আরও চারটি নতুন সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
টাঙ্গাইল-৬ আসনের আহসানুল ইসলামের (টিটু) প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও রোগীদের মানসন্মত চিকিৎসা দিতে ‘স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন ২০১৯‘ এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন হবে।
সংরক্ষিত আসনের গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা ৫০ হাজার ৫০০ জন।
সংরক্ষিত আসনের খ. মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, তামাক সেবনজনিত রোগে দেশে বছরে ১২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়ে তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকালে পঙ্গুত্বের শিকার হয়। তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর এক লাখ ৬২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।
২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খসড়া রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর ডিপিপি প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান আছে।