November 26, 2024
খেলাধুলা

নাবালিকাকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসলেন ইয়াসির শাহ

নাবালিকাকে ধর্ষণ মামলায় ফেঁসেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইয়াসির শাহ। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের শালিমার থানার তিনি ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে সেকশন ২৯২-বি ও সি (শিশু পর্ণোগ্রাফি) এবং সেকশন ৩৭৬ (ধর্ষণ) অনুযায়ী মামলা হয়েছে।

এক নারী তাদের বিরুদ্ধে এই মালা করেন। মামলার ‘এফআইআর’ এ ওই নারী উল্লেখ করেন যে, তার ১৪ বছর বয়সী ভাতিজিকে নিয়ে কয়েকমাস আগে ইয়াসির শাহর একটা প্রোগ্রামে যান। সেখান থেকে ফেরার দুই-তিন মাস পর তার ভাতিজি অসুস্থবোধ করেন। এরপর তাকে বার বার জিজ্ঞাসা করার পর জানায় যে, ইয়াসির শাহর ওই প্রোগ্রামে যাওয়ার পর ফারহান নামে একজন তার মোবাইল নম্বর নেয়। পরে তার সঙ্গে কয়েকদিন কথা হয়। ফারহান নিজেকে ইয়াসিরের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেয়। সে ওই মেয়েকে হোয়াটসঅ্যাপে ইয়াসিরের সঙ্গেও কথা বলায়।

 

এরপর আগস্ট মাসের ১৪ তারিখ স্কুল থেকে ফেরার পথে ফারহানের সঙ্গে দেখা হয়। ফারহান তাকে ট্যাক্সিতে করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। যেটার নম্বর এফ-১১।

ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে তার ভাতিজিকে যৌন নিগ্রহ করে এবং সেটার ভিডিও ধারন করে রাখে। এরপর বিষয়টি কাউকে জানাতে নিষেধ করে। যদি জানায় তাহলে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দিবে এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকী ওই মেয়েকে ইয়াসির শাহকে দিয়েও ভয়-ভীতি দেখায় ফারহান।

এফআইআর এ আরও উল্লেখ করা হয় যে, এরপর ফারহান তাকে ব্লাকমেইল করে এবং আরও একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে।

 

এই বিষয়টি জানার পর ১০ অথবা ১১ সেপ্টেম্বর ওই নারী ইয়াসির শাহকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে সবকিছু বিস্তারিত জানান। তখন ইয়াসির ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিল। বিষয়টিকে পাত্তা না দিয়ে ইয়াসির ওই নারীকে বলেন যে, ‘আপনার ভাতিজি দেখতে অনেক সুন্দর। আর আমি কম বয়সী মেয়েদের বেশি পছন্দ করি।’

এরপর ইয়াসির তার ভাতিজিকে ফারহানের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তাছাড়া নানারকম ভয়-ভীতি দেখাতে থাকেন। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদের মেরে ফেলা হবে। তার উচ্চ পদস্থ অনেক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ আছে বলেনও হুমকি দেন।

এরপর ওই নারী যখন থানায় মামলা করার কথা বলেন তখন ইয়াসির ওই মেয়ের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন। যতোদিন তার বয়স ১৮ না হতে ততোদিন তিনি তাকে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়ে সেখানে রাখবেন। এরপর ফারহানের সাথে বিয়ে দিবেন।

 

অভিযোগে আরও বলা হয় এরপর ইয়াসির নিয়মিত তাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।

এমনকি ২২ ডিসেম্বর ইসলামাবাদে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে তার ফ্ল্যাটেও ডেকেছেন ওই নারী ও তার ভাতিজিকে।

 

এখন তারা তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কা করছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *