নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মী মোয়াজ্জেম হত্যায় ৪ জনের প্রাণদণ্ড
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নাটোরের লালপুরে ১৭ বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন খান্নাসকে হত্যার দায়ে চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক গতকাল বৃহস্পতিবার এই রায়ে আরও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- লালপুর উপজেলার বাহাদুপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের দুই ছেলে শামীম হোসেন ও সুজন হোসেন এবং একই গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে আবদুল মতিন ও আবদুল খালেকের ছেলে আবদুস শকুর।
এছাড়া বাহাদুপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে শান্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। দণ্ডিত পাঁচ আসামির প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে শামীম ও শুকুর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার আসামিদের মধ্যে ১৩ জনকে বিচারক খালাস দিয়েছেন বলে এ আদালতের পিপি মাসুদ হাসান জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি রাতে হাবিবপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মোয়াজ্জেমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকেরা মোয়াজ্জেমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা মো.আব্দুর শুকুর মৃধা বাদি হয়ে লালপুর থানায় ২৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ওই বছরের ৩০ এপ্রিল আদালতে সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে পাঁচজনের নাম বাদ দেওয়া হয় বলে পিপি মাসুদ হাসান জানান।