নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে ডিএমপি’র প্রতিটি থানা মনিটরিং করা হবে : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বলেছেন, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি থানায় সিনিয়র অফিসার দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
তিনি বলেন, থানাকে জনমুখী ও কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আমি নিজে থানায় বসে ওসিগিরি করবো। প্রত্যেকটি থানা এলাকার লোকদের সাথে কথা বলবো তাদের সমস্যা শুনে সমাধানের উদ্যোগ নিবো।’
নবনিযুক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর রোববার রাজধানীর মিন্টুরোডস্থ ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম, মীর রেজাউল আলম, মো: আব্দুল বাতেন, কৃষ্ণপদ রায়, মো: মফিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানায় সেবা প্রত্যাশী কাউকে যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পরেই ঢাকার সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ-কমিশনারদের (ডিসি) সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের প্রয়োজনীয় ও কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশ ভীতি থেকে বের হতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, থানায় যেন অসহায় বা অপরাধের শিকার হয়ে কোনো মানুষ হয়রানি ছাড়া মামলা ও জিডি করতে পারে, থানা থেকে বের হলে যেন তার মধ্যে এই বোধ থাকে যে পুলিশ তার সহযোগিতা করবে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, নিরপরাধ মানুষ যাতে পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে নজর রাখবো। কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। জঙ্গি সম্পূর্ণ দমন না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বড় ধরনের কোন নাশকতা ঘটানোর সক্ষমতা এখন আর তাদের নেই।
তিনি বলেন, সাইবার অপরাধ, অনলাইন বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম বন্ধে আমরা সমন্বয় করে কাজ করবো।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, সকালে ও বিকেলে অফিস ছুটির সময় ট্রাফিকের ডিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ও টিআইদের ওপর শুধু দায়িত্ব না দিয়ে সিনিয়র কর্মকর্তাদের মাঠে থাকা নিশ্চিত করা হবে।
ট্রাফিক ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নগরীর যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
উপস্থিত সাংবাদিকরা নগরীতে একজন মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ওই ঘটনায় ডিসিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু ওসিকে তার পদে বহাল রাখা হয়েছে।
এবিষয়ে কমিশনার বলেন, কার দায় কতটুকু হয়তো সেভাবেই বিবেচনা করা হয়েছে। আমি কাগজপত্র দেখে পরে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবো।