November 26, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

‘নাগরিকদের সেবা প্রদান কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীর নৈতিক দায়িত্ব’

 

খবর বিজ্ঞপ্তি

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত হচ্ছে কাজের মধ্যে সততা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। যে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা কিংবা জবাবদিহিতা নাই, সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা আদৌ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, নগরবাসী প্রদত্ত পৌরকরের মাধ্যমে কেসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। সুতরাং নগরবাসীর প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা থাকে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই নাগরিকদের সেবা প্রদান করা প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নৈতিক দায়িত্ব।

সিটি মেয়র গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ২০২১-২২ এর আলোকে স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন এ সভার আয়োজন করে।

উল্লেখ্য, সরকার নিয়ন্ত্রিত সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচার সংশ্লিষ্ট নীতিসমূহের চর্চাকে অব্যাহত রাখা এবং তাঁদের সার্বিক কর্মকান্ডে দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ২০১২ সালে সরকার জাতীয় শুদ্ধাচার পলিসি গ্রহণ করে। সভায় সিটি মেয়র সততা, নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক গৃহীত পলিসিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য কেসিসি সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন।

সভায় সিটি মেয়র আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দু’হাজার একচল্লিশ সালের মধ্যে তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমন্ডলে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত করতে চান। সকলে নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করলে প্রধানমন্ত্রীর এ প্রচেষ্টা সফল হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আজমুল হক-এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে কেসিসি’র মেয়র প্যানেলের সদস্য মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না ও মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, কেসিসি’র সাবেক কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মনু, জেলা পরিষদ-খুলনার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আজিজ, নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন শেখ, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিবুল আলম, কঞ্জারভেন্সি অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান, ভেটেরিনারি সার্জন পেরু গোপাল বিশ্বাস, রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ অহিদুজ্জামান খান, এষ্টেট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান তালুকদার, সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার ফারুক হোসেন তালুকদার, বাজার সুপার মোঃ সেলিমুর রহমান, কালেক্টর অব ট্যাক্সেস তপন কুমার নন্দীসহ কেসিসি’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নগরীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *