না’গঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ, বহু মানুষ দগ্ধ, হাসপাতালে ভর্তি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি মসজিদের আধা ডজন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ‘একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়ে’ অন্তত ৪০ জন আহত বা দগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পরপর সদর উপজেলার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে বলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান।
তিনি বলেন, রাতে এশার ফরজ নামাজের পর অনেকে সুন্নত নামাজ পড়ছিলেন, তখনই বিকট শব্দে ওই মসজিদের এসি বিস্ফোরিত হয়। প্রাথমিকভাবে অন্তত ৪০ জনের আহত বা দগ্ধ হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি; তাদের বেশিরভাগকেই ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর এসি বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৪০ জন দগ্ধ হয়েছেন।নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর এসি বিস্ফোরিত হয়ে অন্তত ৪০ জন দগ্ধ হয়েছেন।
ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মোট ৩৭ জনকে ফতুল্লা থেকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়েছে; তাদের সবার অবস্থাই ‘আশঙ্কাজনক’। বাইতুস সালাত জামে মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০) এবং মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনও (৫০) আছেন ওই ৩৭ জনের মধ্যে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফতুল্লা থানার পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় মসজিদের ভেতরে অর্ধশতাধিক লোক নামাজ পড়ছিলেন। এর মধ্যে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ ঘটলে ভেতরে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ধাক্কায় মসজিদের থাই গ্লাস উড়ে গিয়ে পড়ে। মসজিদ থেকে বেরিয়ে এসে বহু মানুষ দগ্ধ শরীরের যন্ত্রণায় রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর এসি বিস্ফোরিত হয়ে আহতদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার রাতে এশার নামাজের পর এসি বিস্ফোরিত হয়ে আহতদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই মসজিদে আগুন লাগার খবর পাওয়ার কথা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা কামরুল আহসান বলেন, তাদের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
ফায়ার বিগ্রেডের উপ পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন বলেন, “দেড় টনের ৬টি এসি ছিল। সবগুলো একসাথে বিস্ফোরিত হয়েছে। এসিতে ব্যবহৃত ফ্রেয়ন গ্যাসের অস্থিত্ব আমরা মসজিদের ভেতরে বাতাসে পেয়েছি। এর পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা কামরুল আহসান জানান।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ