নমুনা পরীক্ষা করাতে এসে বৃদ্ধের মৃত্যু
নভেল করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করাতে এসে মারা গেছেন এক বৃদ্ধ। তবে পরে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ওই ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ছেলে।
শরীরে জ্বর থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে এসেছেলেন আব্দুর রাজ্জাক (৬৩) নামের ওই ব্যক্তি।
মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে রাতেই মৃতদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার রাজ্জাকের ছেলে সালাউদ্দিন বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি বাবার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
রোববার মোহাম্মদপুর থেকে আব্দুর রাজ্জাক দুই ছেলের সহায়তায় বিএসএমএমইউতে আসেন করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করাতে।
রমনা থানার এসআই মো. খালেদ বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের রাস্তায় রাজ্জাককে মৃত অবস্থায় পাই।
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পর রাতেই স্বজনদের কাছে মৃতদেহ দেওয়া হয়।”
এদিকে নমুনা পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুর যে তথ্য ফেইসবুকে এসেছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন তার ছেলে সালাউদ্দিন।
একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার ছাত্র সালাউদ্দিন সোমবার বলেন, তার বাবার জ্বর ছিল, তাই পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বাবার বিষয়টি যেভাবে এসেছিল ঘটনাটি তা নয়। আমার বাবা হাসপাতালের সামনের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন না। আমরা দুইভাই বাবার সঙ্গে এসেছিলাম।
“ছোটবেলায থেকে দেখতাম বাবা মুখে গুল দিয়ে রাখতেন। অত্যাধিক গুল দেওয়ার কারণে অনেক আগে থেকে তার সমস্যা ছিল। স্থানীয় একজন চিকিৎসককে দেখানোর পর নিয়মিত ওষুধ খেতেন। কয়েকদিন আগে একজন অধ্যাপককে দেখানো হয়। তিনি বলেছিলেন, এখন একটু হালকা ঠাণ্ডা-কাশি হলেও করোনাভাইরাস টেস্ট করিয়ে নেওয়াটা ভালো।”
সালাউদ্দিন বলেন, “ওই চিকিৎসকের পরামর্শেই গতকাল আমরা বাবাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যাই। বাবাকে অটোরিকশায় বসিয়ে আমি টিকিট নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। দেড় ঘণ্টা পর অটোচালক এসে আমাকে বলেন, তাড়াতাড়ি আসেন আপনার বাবা জানি কেমন করছেন।”
রোববার অত্যন্ত গরম ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “বাবার কাছে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি হাত-পা ছেড়ে দেন এবং মারা যান।”